প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা!

বিপুল জনাদেশ পেয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঐতিহাসিক এই জয়ের পর এখন তাঁর পাখির চোখ দিল্লির মসনদে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই এখন নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভায় এখন তৃণমূলের ৩৪জন সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভায় এই সংখ্যাটা ১২। বর্তমান মোদী সরকারকে বিভিন্ন বিল পাশের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষে নির্ভর করতে হয় তৃণমূলের উপরে। এহেন পরিস্থিতিতে ২০১৯সালেই দেশ শাসনের স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে একা নয়, ফেডারেল ফ্রন্টের মাধ্যমে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করেছে ঘাসফুল শিবির। আর এই ফ্রন্টের মাথায় থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই ফেডারেল ফ্রন্টের নেত্রী হওয়া উচিত। বিকল্প, ধর্ম নিরপেক্ষ মঞ্চ গঠন করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর্শ নেত্রী।”
কেন্দ্রে কংগ্রেসের পতনশীল অবস্থার কারণে বিরোধী আসন এই মুহূর্তে শূন্যস্থানে পরিণত হয়েছে। আঞ্চলিক দলের নেতা-নেত্রী হিসেবে মমতা, নীতীশ বা জয়ললিতা এগিয়ে আসতে পারেন মোদী বিরোধীতায়। তবে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠিত হলে মমতাকেই যোগ্য নেত্রী বলে মনে করেন তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজা। বিজেপি বিরোধী ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনে আগ্রহী তৃণমূল অবশ্য সিপিএম বা কংগ্রেসকে নিয়ে গঠিত ফ্রন্টে যোগ দেবেন না। এই বিষয়ে নিজের স্পষ্ট মত জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লালু প্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমারের সঙ্গেও এই বিষয়ে প্রাথমিক কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে মমতা বলেছেন, “মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর মতো বিরোধী এই মুহূর্তে নেই। নরেন্দ্র মোদীর বড় ইউএসপি হচ্ছে রাহুল গান্ধী।” ফেডারেল ফ্রন্ট দেশের সার্বিক উন্নতিতে একান্তই প্রয়োজনীয় বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ফেডারেল ফ্রন্টের হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন বলে তাঁকেই ফ্রন্টের নেত্রী করা উচিত বলে জানিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
যদিও তৃণমূলকে রাজ্যের দিকেই নজর দেওয়ার কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “মমতার এই মুহূর্তে রাজ্যের দিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। গত লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। নীতীশ-মুলায়ম ফ্রন্ট নিয়ে কথা বললেও আসলে এই নিয়ে তাঁদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।” দীলিপবাবু আরও বলেছেন, “জ্যোতি বসুও একবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, আজীবন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী শাসক বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন