প্রবাসীদের দুঃখের কথা ও কিছু প্রস্তাবনা
আমাদের সংস্থাপন মন্ত্রী বলেছেন, আমরা দরিদ্র দেশে দান পাঠাবো। কোথায় আপনার টাকা, যে টাকা দিয়ে দান পাঠিয়ে বড়োলোক সাজতে চান ?
এদেশে এখনো নিজস্ব উৎপাদনে বা নিজের দেশীয় রোজগারে নির্ভরশীল নয়, এটা সবাই না জানলেও সমাজের হালকা শিক্ষিতরাও জানে দেশ কিভাবে চলছে।
কতটা সংসার আছে যারা সত্যিকার অর্থে এদেশের কামাই দিয়ে চলতে পারছে ?
আমার ফ্রেন্ড লিস্টে যারা আছেন, তাদের কেউ বলতে পারবেন, দেশীয় কামাই দিয়ে পুরো সংসার চালাতে পারছেন?
প্রত্যেকটি সংসার চলছে বিদেশী কামাই দিয়ে. কারো ভাই, কারো বাপ, কারো মেয়ে বিদেশ গিয়ে দিন রাত প্রতি নিয়তো যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
একজন প্রবাসীর প্রতিটি সকাল মানেই অজানা গন্তব্যের খোঁজে পথ চলা.একজন প্রবাসীর জীবন বা তাঁর সংসার কিভাবে চলে, সেটা কখনো দেখেছেন মাননীয় মন্ত্রী ?
আমি পৃথিবীর প্রায় ২০ টি দেশ ঘুরেছি. কোনো কোনো দেশে গেছি বহুবার .দেখেছি কিভাবে নিজে না খেয়ে দেশের জন্য টাকা জমায় আমার প্রবাসী বন্ধুরা।
দেখেছি কিভাবে নিজের প্রাণকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চোখ বন্ধ করে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সর্বচ্চো ভয়ানক কর্মস্থলে।
পরিবার ও দেশকে ভালোবেসে জীবন বাজি রেখে চলছে বছরের পর বছর।
যৌবন পার করে যখন দেশে আসে, না হতে পারে পরিবারের আপনজন না হতে পারে সমাজের। মানবেতর জীবন যাপন শুরু করতে হয় শেষ জীবনে .এভাবেই শেষ হয় একজন প্রবাসীর জীবন।
কেউ বলতে পারবে, বিদেশ যাওয়া থেকে শুরু করে ফিরে আসা পর্যন্ত সরকারের কোনো সহযোগিতা পেয়েছে ?
বরং দেশে আসলে হাজারো জটিলতায় পড়তে হচ্ছে আমার প্রবাসী বন্ধুদের .তাই বলবো তাঁদের টাকা কাউকে দান না করে তাদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করুন ।
শেষ বয়সে যেন কেউ না খেয়ে না মরে, সেদিকে ব্যবস্থা নিন। দেখবেন স্বদেশের প্রতি ভালোবাসার মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে প্রবাসীদের। বেড়ে যাবে রেমিটেন্সের পরিমান।
দেশের টাকা চুরি করে বিদেশ নিয়ে, আবার সেই টাকা ধোলাই করে সাদা বানিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়ে যারা, সিআইপি খেতাব নিয়ে রাজকীয় হালে ইমিগ্রেশন পার হচ্ছে, তাঁদেরকে সিআইপি না দিয়ে, যারা সবচে বেশি সময় ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন এবং প্রতি মাসে নিজের অর্জিত অর্থ দেশে প্রেরণ করেছেন, তাদেরকে সিআইপি ও বীর খেতাব ভূষিত করুন ।
মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাস দেশের জন্য যুদ্ধ করে নাতি পর্যন্ত নিরাপত্তা পান.আর যারা সারা জীবন যুদ্ধ করে দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতাকে রক্ষা করে যাচ্ছেন তাদের জন্য কি কিছুই করার নেই আমাদের ?বন্ধ করুন এয়ারপোর্টের সব ঝামেলা. প্রবাসীদের দেখলে সর্বোচ্চ সন্মান দেখানোর ব্যবস্থা করুন।
নিজ এলাকায় প্রতিটি প্রবাসীর নিরাপত্তায় বিশেষ সেল এর মাধ্যমে ওয়ান স্টপ সহযোগিতা সংরক্ষণ করুন .তাঁদের সন্তানদের পুরোপুরি বিনা মূল্যে সব ধরণের সেবা চালু করুন .অন্য ভাষী দেশ থেকেও কোনো ছেলে মেয়ে দেশে ফিরে আসলে , সম মর্যাদা দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
মোটামুটি অর্থ নিয়ে যারা দেশে একেবারে চলে আসে, তাঁদেরকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সহজে বিভিন্ন পার্টনারশিপ ব্যবসায় ইনভেস্ট করতে দিন। এগুলি তাঁদের অধিকার।তাঁদের প্রাপ্য তাঁদেরকে বুঝিয়ে দিন ।
সাইফুর রহমান সাগর, সংবাদ কর্মী
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
যে কারনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সম্মেলন স্থগিত
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশক্রমে মাত্র এক সপ্তাহের নোটিশে যুক্তরাজ্য বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন
ইউরোপ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বাড়ছে চাপ !
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিদের ফিরিয়েবিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার শ্রমিক নেবে সৌদি আরব
চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পেশার প্রায় ৩ হাজারবিস্তারিত পড়ুন