প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ খরচের তথ্য দেবে সরকার
প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ কিভাবে খরচ করা হয় সে বিষয়ে একটি জরিপ করা হয়েছে। শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সেফগার্ডিং ইন্টারেস্ট অব বাংলাদেশ মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইস্যু অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশান অ্যান্ড সোস্যাল প্রোটেকশন শীর্ষক ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিপিডি ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বর্তমানে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স আয় আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘বৈদিশিক মুদ্রা অর্জনে অভিবাসী শ্রমিকের সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ কারণে প্রতিবছরই বাড়ছে এ মুদ্রার পরিমাণ।’ বর্তমানে ১১ দশমিক দুই মিলিয়ন মানুষ বিদেশে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রবাসীরা ইংরেজিতে অনেক দুর্বল। তাই রেমিট্যান্স বাড়াতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে। একজন দক্ষ শ্রমিক যে পরিমাণ বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে তার চেয়ে অনেক কম বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করে অদক্ষ শ্রমিকেরা। এ বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বৈদিশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে চায়না উদাহরণ হিসেবে সবার কাছে স্বীকৃত। তাই আমাদের প্রতিটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে।’
মূল প্রবন্ধে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে বাংলাদেশ ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। যেখানে ১৯৯০ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৭ বিলিয়ন। ২০০০ সালে ছিল ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। যা ২০০৫ সালে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এই রেমিটেন্স আহরণের পেছনে মূল অবদান রাখছে মাইগ্রেট ওয়ার্কাররা। সেই অবদানের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে। তাদেরকে সঠিক সুরক্ষা দিতে পারলেই রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ দিন দিন আরো বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীরা অনেক জটিলতা পোহাচ্ছে। আর এ কারণে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে আছে। যদি সেসব জটিলতার অবসান ঘটনো যায় তাহলে রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে উঠে আসবে।’
সেমিনারে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশের শ্রমিকরা অদক্ষ হয়ে বিদেশে যায়। তাই তারা কঠোর পরিশ্রম করলেও দক্ষদের চেয়ে আয় কম করে। তাই এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ে ভোকেশনাল শিক্ষাকে আরো মানসম্মত করার জন্য পরামর্শ দেন তারা।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ শাখার প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হাসান, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রিনিভাস বি রেড্ডি উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন