প্রশ্নের মুখে বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে ও নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক মাশরাফি ভক্তের মাঠে ঢুকে পড়া নিয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। মাঠে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীদের কর্তব্য নিষ্ঠা নিয়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়।
শনিবার আফগানিস্তান ইনিংসের(শেষ ওয়ানডে) ২৮তম ওভারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। মাঠের সব দিকে লোহার বেষ্টনী থাকলেও মাঠের পশ্চিম পাশে অবস্থিত গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের অংশটুকু অনেকটাই অরক্ষিত।গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের নিচের বক্সগুলো থেকে একটু কষ্ট করলেই লাফ দিয়ে ছোট্র দেয়াল টপকে মাঠে ঢোকা যায়।
মেহেদী হাসান নামের অতি মাশরাফি ভক্ত সেই কাজটি করে বিসিবি তথা পুরো দেশকেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিলেন। নিরাপত্তা কর্মীদের ফাঁকি দিয়ে রেলিং টপকে মাঠে ঢুকে অনেক দূর দৌড়ে প্রিয় তারকাকে জড়িয়ে ধরেন।
বড় মনের মানুষ মাশরাফি। এমন কাণ্ডে হতবাক হলেও মেহেদীকে বুকে টেনে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিরাপত্তা কর্মীরা ছুটে এসে টানতে শুরু করলে মাশরাফি আগলে রাখেন মেহেদীকে। মাশরাফি সিংহ হ্রদয়ের পরিচয় দেন। ভক্তকে মারধর না করার জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের অনুরোধ করেন ম্যাশ। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা মাশরাফি ভক্তকে মিরপুর থানায় সোপর্দ করে।
মাঠে একসময় এমন ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটলেও সাম্প্রতিক সময়ে এধরনের ঘটনা খুব কমই দেখা যায়। নিরাপত্তা যেখানে এক নম্বর ইস্যু এবং উদ্বেগের কারণ, সেখানে এমন ঘটনা না ঘটাই উচিৎ বলে মনে করছেন ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িতরা। ব্যাপারটা বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে দৈনিক সকালের খবরের ক্রীড়া সম্পাদক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক এম এম কায়সার বলেন,‘ এটা খুকই বাজে উদাহরণ। এই ঘটনাই প্রমাণ করে বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কতোটা ফাঁক রয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এটাই কি তার নমুনা? নিরাপত্তা কর্মীরা কি করেছেন? তাদের চোখ তো থাকবে গ্যালারির দিকে। কিন্তু উনাদের চোখ থাকে মাঠের দিকে। তাদের চোখ ও মন থাকে খেলাতে।’
এম এম কায়সার আরও বলেন,‘ হ্যাঁ, ঘটনাটা খুব বড় কিছু নয়।কিন্তু বড় কিছু তো হতেও পারতো। তার হাতে তো ছুরিও থাকতে পারতো। সে মাশরাফির ভক্ত না হয়ে শক্রও হতে পারতো। কিংবা প্রতিপক্ষ দলের কাউকে আঘাতও করতে পারত।’
তবে এ ঘটনা ইংল্যান্ড সিরিজের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না বলে মনে করেন তিনি। কায়সার বলেন,‘ না, আমি মনে করি না যে, এটা ইংল্যান্ড সিরিজের ক্ষেত্রে নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলবে। তবে এ ঘটনারে পর নিশ্চয়ই সজাগ হবে বিসিবি ও আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন