‘প্রস্তাবিত বাজেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’
জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ২০১৬-’১৭ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে উন্নয়নের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক দলিল হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন, এ বাজেট মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট।
আজ রবিবার জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি এড. শাহ জিকরুল আহমেদ, এড. হাবিবুর রহমান শওকত, শফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন খান জকি ও নুরুল আখতার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেটে জাতি হিসাবে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আর্থ-সামাজিক ও রাঝনৈতিক নীতি কৌশলের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। বিশেষ করে বাজেট চূড়ান্ত করার সময় সমাজে সমতা বিধানের নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে জাসদ সরাসরি এ কথাটি উল্লেখ দেখতে চায়। কারণ সম্জাতান্ত্রিক আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা অনুসরণ করার মাধ্যমেই দারিদ্রতা ও সামাজিক বৈষম্য দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব।
হাসানুল হক ইনু প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক পরিবেশ রক্ষায় জঙ্গি ও আগুন সন্ত্রাস নির্মূল করতে যথাযত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এ জন্য সন্ত্রাসী তথা আগুন সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গী গোষ্ঠী বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিম-ল ছাপিয়ে সাংস্কৃতিক পরেসরে শেকড় গেড়ে বসেছে। এদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিকভাবে মোকাবেলার প্রয়োজন রয়েছেÑ যা অত্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, রাজনীতি ও অর্থনীতির সাথে সংস্কৃতির সম্পর্ক যথাযথভাবে অনুধাবন করে সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক পরিমাণে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে জঙ্গি ও আগুণ সন্ত্রাসের মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ সবের নির্দেশনা ও বরাদ্দ থাকা দরকার।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার সাথে সাথে সংস্কৃতি জীবনমান এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এক জাতীয় মনন গড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক পরিমাণে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেটে শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের ধারনাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে বিশেষত জ্বালানি দক্ষ ও কম নির্গমণকারী প্রযুক্তি আমদানির ক্ষেত্রে। জাসদ এ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানায়। আয় কর সংগ্রহ বৃদ্ধি করার জন্য ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা কর দিতে পারে, এমন ব্যক্তি কর দাতাদের খুঁজে বের করা এবং তালিকা প্রণয়ন করার লক্ষ্যে একটি “বিশেষ টাস্কফোর্স” গঠন করা প্রয়োজন। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ টাস্কফোর্স গঠন করে পদক্ষেপ নিলে ৫০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব অর্জিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্যমন্ত্রী চলতি অর্থবছরে পল্লী রেশনিং চালু করার দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে শিরীন আখতার এমপি বলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ আশা করে কেবলমাত্র প্রথাগত সমালোচনার প্রতি সংবেদনশীলতা নয়- সাংবিধানিক নির্দেশকে অনুসরণ করেই বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট প্রণীত ও অনুমোদিত হতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তারেক রহমান: ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হলে বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করা অসম্ভব
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেওবিস্তারিত পড়ুন
জামায়াত সেক্রেটারি: দেশে আরেকটি বিপ্লব হবে, সেটি হবে ইসলামি বিপ্লব
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “৫ আগস্টেরবিস্তারিত পড়ুন
ফখরুল: বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না বলে মন্তব্যবিস্তারিত পড়ুন