প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস না কি বিপদ ডেকে বসলেন ?

দীর্ঘক্ষণ স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থেকে বাস-অটোরিকশা না পেয়ে প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাসে চড়ে বসেন অনেকে; যা থেকে ভয়ানক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কাউকে কাউকে। বেশী দিন হয়নি। সপ্তাহ খানেক আগে এমন পরিস্থিতির শিকার হন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রবাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক কর্মকর্তা।
গাড়িতে ওঠার পর তার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। মারধরের পর চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে ফেলে যাওয়া হয় ধামরাইয়ের এক জায়গায়। এ ধরনের ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েছেন এক রিকশাচালকও। গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কারওয়ানবাজার থেকে ট্রাকে উঠে মোবাইল-টাকা খুইয়ে তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার হন টাঙ্গাইলে।
আবার যানবাহনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এভাবে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়ে এক লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন বিডিনিউজ এর এক কর্মকর্তা।
গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে প্রাইভেট গাড়িতে তুলে ছিনতাই, অপরহণের কথা বলে মুক্তিপণ দাবির বেশ কিছু অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার যায়েদ শাহরিয়ার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এই জাতীয় ঘটনার তদন্ত অনেক ক্ষেত্রেই সময় লাগে। কারণ ভুক্তভোগী অনেক সময় কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না।
“তবে পুলিশ তার সাধ্যমতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, গুপ্তচর নিয়োগ করে ঘটনা তদন্ত করে থাকে। এই ধরনের ঘটনা তদন্তে গোয়েন্দাদের সফলতা রয়েছে।”
এসব ঘটনার তদন্ত করে আসামিও ধরা হয়েছে বলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহ হেল বাকী জানিয়েছেন। গত দুই/এক বছরে এই জাতীয় বেশ কিছু অভিযোগ সিআইডিতে এসেছে বলে জানান তিনি।
প্রবাস ডিস্ট্রিবিউশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমজাদ হোসেন হারুন জানান, গত ২৭ জানুয়ারি বিকালে পল্টনের অফিস থেকে বেরিয়ে গুলশানে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে যেতে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে চড়ে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি।
তার ছেলে সারিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাড়িতে চালক ছাড়া আরও দুজন ছিল। বাবা গাড়িতে ওঠার পরই তারা উনার মুখ চেপে ধরে। চোখে কালো চশমা পরিয়ে হাত-পা বেঁধে ব্যাপক মারধর করে।
“ওরা বাবার কাছে থাকা প্রায় ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। বাবার মোবাইল থেকে বাসায় ফোন করে আরও ২০ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে।”
পরে ওই রাতেই চোখ বাঁধা অবস্থায় তার বাবাকে ধামরাইয়ের একটা বালুর মাঠে ফেলে যায় বলে জানান সারিক।
“বাবার কাছে কোনো টাকা ছিল না। ট্রাকে করে রাতে ঢাকায় ফেরেন তিনি।”
পরদিন রমনা থানায় এ বিষয়ে একটি জিডি করেছেন আমজাদ হোসেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন