প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে এক নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকাকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই রাতেই পরিবারের তরফে প্রতিবেশী যুবক অমর দাসের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দিন কয়েক আগেই মাথাভাঙার বেলেরডাঙা গ্রামে দুই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে হইচই পড়ে যায় জেলায়। ওই দুই ছাত্রীর একজন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অপরজন কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এখনও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেনি ওই কিশোরী। এই পরিস্থিতিতে ফের আরেক ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে গোটা জেলায়। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে। কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিধায়ক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা পুলিশকে বলেছি।’’
কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল জানান, ইতিমধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “ধর্ষণ ও পকসো সহ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। শীঘ্র অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।।”
ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, ওইদিন দুপুরে অন্যদিনের মতো টিউশন পড়তে যাওয়ার জন্য সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই ছাত্রী। আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার রুট ধরে সে বোকালির মঠের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় বাইকে চেপে অভিযুক্ত ও তাঁর সঙ্গী ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা তাঁর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার পরে সে বাড়িতে ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন খোঁজখবর শুরু করে। রাত সাড়ে ৭ টা নাগাদ এক প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর সাইকেলটি পাওয়া যায়নি।
ওই ছাত্রীর এক খুড়তুতো দাদা জানিয়েছেন, যখন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় তখনই অসুস্থ ছিল ওই ছাত্রী। তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর ওই ছাত্রীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবাও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এই অবস্থায় পরিবারকে সামলাতে সমস্যায় পড়ে যান তাঁরা। তাই ঘটনার পরেই তাঁরা অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। এফআইআর দায়েরের পর ওই ছাত্রীর এক আত্মীয়া বলেন, “এ বারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে ওই নাবালিকা। সে জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ দিন একটি পরীক্ষাও ছিল। সেটিতে বসতে পারল না।” পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তের বাড়ি ওই গ্রামেই। ওই যুবক টিউশন পড়ায়। তাঁর পরিবারের তরফে ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সূত্র- আনন্দবাজার
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন