প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন কনুইয়ের কালচেভাব
নিজের হাত দুটোকে সুন্দর রাখতে চায় সকলেই। আর তাই নানারকম প্রসাধনী, সাবান, ময়েশ্চারাইজার, অলঙ্কারসহ আরো নানা জিনিস ব্যবহার করে থাকে মানুষ হাতে। কিন্তু এতকিছু করার পরেও অনেকে হাতাকাটা বা হাফহাতা পোশাক পরতে ভয় পান। আর এর কারণ হচ্ছে কনুই-এর কালো ছাপ। শীতকালে তো অবশ্যই, অনেকেই সারা বছর জুড়ে ভুগে থাকেন এই কনুই কালো হবার যন্ত্রণায়। তবে আর নয় ফুল হাতার ঝঞ্ঝাট। জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে কনুই-এর কালো দাগ দূর করার পদ্ধতি আর পরুন ইচ্ছেমতন পোশাক।
সাধারণত শরীরের অন্যান্য স্থানের চাইতে আমাদের কনুই-এর চামড়া একটু মোটা হয়ে থাকে। এছাড়া এখানটায় কোন তৈলগ্রন্থিও থাকেনা। ফলে খুব সহজেই জায়গাটি শুষ্ক, রুক্ষ্ণ ও কালচে হয়ে যায়। তবে এ দুটো কারণের পাশাপাশি আরো যে কাণগুলো আমাদের কনুইকে কালো করতে সাহায্য করে সেগুলো হচ্ছে-
১. হরমোনের অসাম্যতা
২. রোদের আধিক্য
৩. স্থুলতা
৪. জীনগত সমস্যা
৫. মেলানিন পিগমেন্টের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং
৬. অতিরিক্ত ঘর্ষণের মতন ব্যাপারগুলো।
আর তাই এসব কারণকে মাথায় রেখেই ঘরোয়াভাবে কনুইএর কালো দাগকে দূর করতে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোকে বাছতে হবে আপনার। এক্ষেত্রে যে উপাদানগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন সেগুলো হচ্ছে-
১. নারকেল তেল
আগেই বলেছি যে কনুইএর কাছটায় কোন তৈলগ্রন্থি থাকেনা। আর তাই এখানকার চামড়াকে সতেজ ও সিক্ত রাখতে নারকেল তেল হতে পারে ভালো একটি উপায়। এছাড়াও নারকেল তেলে রয়েছে ত্বককে সুস্থ রাখার গুনাবলীও। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই, যেটা কিনা ত্বকের কালোভাবকে হালকা করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে দিনে বেশ কয়েকবার এবং অবশ্যই গোসলের পর খানিকটা নারকেল তেল কনুইয়ের কালো স্থানটিতে এক থেকে দুই মিনিট মালিশ করুন। তবে বারবার করতে না ইচ্ছে হলে এক চা চামচ নারকেল তেলের সাথে অর্ধেক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একবার মালিশ করুন কনুইতে আর সেটা ১৫-২০ মিনিট অব্দি রেখে দিন ( টপটেন হোম রিমেডিস )। কনুইইয়ের কালচেভাব কমে যাবে।
২. লেবুর রস
নারকেল তেলকে বাদ দিলে লেবুর রস হতে পারে আপনার এই ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটির সঠিক প্রতিষেধক। লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি, যেটা কিনা মৃত কোষকে সরিয়ে ফেলে নতুন কোষ জন্মানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি প্রাকৃতিক পরিষ্কারকদের ভেতরে সবচাইতে শ্রেষ্ঠ। ত্বকের রংকেও অনেকটা হালকা করতে সাহায্য করে লেবুর রস। দিনে একবার হলেও কনুইতে লেবুর রস মালিশ করুন আর সেটাকে ২০ মিনিট অব্দি রেখে দিন ( টপটেন হোম রিমেডিস )। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আরো বেশি ফলাফলের জন্যে খানিকটা মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন লেবুর রসে। কয়েক সপ্তাহ এই পদ্ধতিটি অনুসরন করুন। তবে সাবধানতা হিসেবে লেবুর রস লাগানোর পর তিন ঘন্টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ থেকে দূরে থাকুন।
৩. জলপাই তেল ও লবণ
দুই চা চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ জলপাই তেল ও খানিকটা লবন একত্রে একটি বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে মেশান। এরপর সেটাকে কনুইয়ে লাগান। সাধারনত লেবুর রস ত্বককে খানিকটা শুষ্ক করে তুলতে পারে। আর এই শুষ্কতার হাত থেকে মুক্তি পেতে জলপাই তেল সাহায্য করবে আপনাকে। সেই সাথে লবণ শুষ্ক ও মরা ত্বককে সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করবে ( ন্যাচারাল বিউটি টিপস )। আর তাই প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ একবার হলেও এই মিশ্ণটি ব্যবহার করুন।
৪. দুধ
খানিকটা বেকিং সোডার সাথে দুধ মিশিয়ে নিন আর মিশ্রণটি কনুইএর কালো স্থানে লাগান ( ন্যাচারাল বিউটি টিপস )। বেকিং সোডা অতিরিক্ত পিগমেন্টকে কমিয়ে দিয়ে কনুইকে স্বাভাবিক রঙ ফিরে পেতে সাহায্য করবে। এছাড়াও দুধ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে আর ত্বককে ফিরিয়ে দেবে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।
৫. হলুদ
হলুদের স্বাভাবিকভাবেই চামড়াকে সুস্থ ও সতেজ রাখার গুনাবলী রয়েছে। এটি ত্বককে পরিষ্কার করে একে প্রাকৃতিকভাবে কালচেভাব থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে গমের গুড়ো, হলুদ আর খানিকটা দই একসাথে মিশিয়ে নিন আর মিশ্রণটি কনুইএ ব্যবহার করুন ( স্কিনকেয়ার অর্গ )। এরপর সেটাকে ২০ মিনিট অব্দি সময় দিন শুকোবার। সপ্তাহে অন্ততঃ তিনদিন হলেও এই পদ্ধতিটি চেষ্টা করুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন