মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

প্রাচীন থেকে বর্তমান, সুন্দর ঠোঁটের অজানা ১১ কাহিনী

আদর্শ অধর, বা সুন্দর ঠোঁট বলতে কী বোঝায়? এর কোনো ‘একটা জবাব’ দেয়া হয়ত সম্ভব নয়৷ কেননা যুগে যুগে এর সংজ্ঞা পরিবর্তন হয়েছে, বদলেছে সুন্দর ঠোঁটের বর্ণনা৷

প্রাচীন মিশর : প্রাচীন মিশরে ঠোঁটের সৌন্দর্য ছিল একেবারে ভিন্ন৷ পিরামিডের ভেতর পাওয়া খ্রিষ্টপূর্ব ১৪ শতাব্দীর এক মূর্তি দেখে বোঝা যায় যে, তখন চোখ আর নাকের আকার ছিল বড়৷ তবে ঠোঁটের আকার ছিল স্বাভাবিক৷ অর্থাৎ ঠোঁট এমনভাবে আঁকা হতো, যাতে তার দিকে কারো চোখ না যায়৷

গ্রিস : প্রাচীন গ্রিসের এক ভাস্কর্য থেকে বোঝা যায় যে তখন মেয়েদের উপরের ঠোঁট ছিল পাতলা, অথচ নীচের ঠোঁটটা ছিল বর্গাকার৷ এটাকেই তখন ঠোঁটের সৌন্দর্যের প্রতীক মানা হতো৷

ভারত :
লক্ষ্মী দেবীর এক মূর্তিতে ঠোঁট খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হলেও, প্রতিমার প্রধান আকর্ষণ কিন্তু চোখ আর নাক৷ মূর্তির দিকে তাকালে সবার আগে তাই নাক আর চোখের দিকেই চোখ চলে যায়৷

চীন : মিং রাজবংশের নারীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়া হতো৷ এটা তখনকার চিত্রকলাতেও চোখে পড়ে৷ ঠোঁট বড় হলে মেকআপের আড়ালে ঢেকে ছোট করে ফেলা হতো৷ তবে তখন লাল লিপস্টিকের চলন ছিল খুব বেশি৷

ইটালি : ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দের এই পেইন্টিং থেকে দেখা যাচ্ছে যে, তখন মেয়েদের ঠোঁট হতো পাতলা৷ এতটাই পাতলা যে ঠোঁটযুগল চোখেই পড়ত না৷

ইউরোপ : ১৮০০ শতকে এসে পুরু ও মোটা ঠোঁটকে সুন্দর বলার চলন শুরু হলো ইউরোপে৷ কিন্তু এরপর আবারো যুগ পাল্টালো এবং ছোট ঠোঁটকে সুন্দর বলা হতে লাগলো৷ মানুষই বোধ হয় একমাত্র প্রাণী, যে ঠোঁটে ঠোঁট ঠেকিয়ে ‘সম্ভাষণ’ বা চুম্বনেক তার মর্ম-সহ উপলব্ধি করতে পারে৷ আর সেটাই ফুঁটে উঠে ১৯১০ সালে গুস্তাভ ক্লিম্ট-এর বিখ্যাত তেলচিত্র ‘দ্য কিস’-এ৷ এখানে ঠোঁট দু’টি কিছুটা বিস্তৃত এঁকেছিলেন তিনি৷

যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৫০-এর দশকে মার্কিন অভিনেত্রী গ্রেস কেলিকে সৌন্দর্যের প্রতীক মনে করা হতো৷ তার ঠোঁট ছিল উপরে পাতলা আর নিচে ভারী৷

১৯৮০ : যুগ বদলানোর সাথে সাথে মুখমণ্ডলের মধ্যে মুখ্য হয়ে উঠল হাসি৷ অথবা উল্টোভাবে বললে ঠোঁটের কদর বেড়ে গেল৷ টিভিতে টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে সিনেমায় অভিনেত্রীর দাঁত বের করে হাসতে দেখা যেতে লাগল৷

১৯৯০ : বড় হাসি, দেখতে ভালোবাসি৷ ১৯৯০-এর দশকে জুলিয়া রবার্টসের এই হাসি দেখে পাগল হয়নি এমন কম তরুণই আছেন৷ তাই জুলিয়া রবার্টসের মতো ঠোঁটের নারীদের তখন সৌন্দর্যের প্রতীক বলে মনে করা হতো৷

একবিংশ শতাব্দী : এই শতাব্দীর অন্যতম রূপসী নারী বলা হয় বলিউডের ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে৷ যার বিস্তৃত হাসি আর ভারী ঠোঁটের দমকে পাগল বিশ্ববাসী৷

বর্তমান প্রজন্ম : কিম কার্দেশিয়ানের রূপের চর্চা বিশ্বব্যাপী৷ তার ঠোঁটের এই ধরন এখন বর্তমান প্রজন্মের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়৷ ইন্সটাগ্রামে তার ভক্তের সংখ্যা ছ’কোটির মতো৷ সেখানে মূলত সেলফি পোস্ট করেই এত ভক্তকে সন্তুষ্ট রেখেছেন তিনি৷ কিশোরী থেকে তরুণী – সকলেই এখন মেকআপ বা প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নিজেদের ঠোঁটকে ঠিক এমনটি করে নিতে ব্যস্ত৷-ডিডব্লিউ

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়