প্রাপ্ত বয়স্কদের ১৬ শতাংশই মানসিক রোগী
দেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের ১৬ শতাংশই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, ২০০৫ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য। আর, ২০০৯ সালে, শিশুদের নিয়ে করা, আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় ১৮ শতাংশই ভোগে মানসিক সমস্যায়। এ পরিসংখ্যান, শুধুমাত্র, যারা বিশেষজ্ঞদের কাছে মানসিক চিকিৎসা নেন তাদের। এর বাইরেও আছেন পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নানা সমস্যায় আক্রান্ত অনেক মানুষ।
সেতুলি। বন্ধুদের সঙ্গে ব্যস্ত আড্ডা আর খুনসুটিতে। ভার্চুয়াল এই আড্ডা তাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে যৌথ পরিবারের পারিবারিক আড্ডা থেকে। ছোট সদস্যদের এই মিলন মেলায় কেউই, যেন, ঠিক কারো সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারছে না। ইন্টারনেটের ওয়াইফাই কানেকশন, স্মার্ট ফোন, গ্যাজেট বা ল্যাপটপ সামনের মানুষটি থেকে আলাদা করে ফেলেছে তাদের।
ইন্টারনেট ছোটদের কাছে খেলার বিষয় হলেও, পূর্ণ বয়স্কদের কাছে তা সময় কাটানো আর আত্মপ্রচারণার বিষয়। টেবিলে পরিবারের সব সদস্য মিলে একসঙ্গে আন্তরিক পরিবেশে খাবার ভাগ্য মেলে কালে-ভদ্রে।
ব্যস্ত কর্মময় জীবন আর ভার্চুয়াল জগত ক্ষতিগ্রস্ত করছে বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোনের আত্মিক সম্পর্কে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়া কমে আসায়, মানসিক রোগের সম্ভাবনা বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে তা ভয়াবহ সন্দেহ-প্রবণতা থেকে শুরু করে কাছের মানুষটিকে খুনের মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক মো. ফারুক আলম বলেন, ‘মনে তার টেনশন, দুশ্চিন্তা, অশান্তি থাকবে। পাশাপাশি স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। ফলে মানসিক রোগ সৃষ্টির ব্যাকগ্রাউন্ড শক্ত হতে থাকে। তবে, মানুষ তাদের মানসিক রোগী হিসেবে তাদের চেনে না। কারণ তাদের বাইরে কোন সমস্যা নেই। সন্দেহটাই তাদের প্রধান রোগ।’ চারিত্রিকভাবে অন্তুর্মুখী না হয়ে বহির্মুখী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন