প্রায় ১ লক্ষ শিশু হতাহত, শৈশব এখানে অর্থহীন…
প্রাপ্তবয়স্করা নিজেদের প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে বাঁচাতে চাইছেন পরবর্তী প্রজন্মকে। কিন্তু এরিয়াল বমবার্ডমেন্টের মানে সবকিছুই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে।
এখানে শৈশব নেই। একদা সুখী, সমৃদ্ধ এই শহর থেকে বিদায় নিয়েছে শৈশব। ইউনিসেফ-এর তরফ থেকে সিরিয়ার আলেপ্পো শহরটিকে ‘দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস সিটি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ফর চিল্ড্রেন’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত এই শহর যে আর শিশুদের বসবাসের উপযুক্ত নেই, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ৩ লক্ষ নির্দোষ অসামরিক মানুষ আলেপ্পোর বিদ্রোহী-অধিকৃত অংশে আটকে রয়েছেন। এই জনসংখ্যার মধ্যে ১ লক্ষ জনই শিশু। প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছেন। ২০১১ সালে সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দেয়। ক্রমে সেই বিদ্রোহ গিয়ে দাঁড়ায় সিরিয়া ও রাশিয়ার যৌথ বাহিনির সঙ্গে জঙ্গিদের সম্মুখ সমরে। এই গৃহযুদ্ধে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলেপ্পো শহরটিই। সম্প্রতি রুশ-সিরিয় যৌথ বাহিনীর এক বিমান হানায় ২৫ জন অসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। অসংখ্য মানুষ জল ও প্রয়োজনীয় সরবরাহ ছাড়াই আটক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আলেপ্পোর উপরে বর্ষিত হচ্ছে বোমা
গত এক সপ্তাহের মধ্যে ১৯০০টি বোমা বর্ষিত হয়েছে আলেপ্পোর উপরে। ১৭ সেপ্টেম্বর এই ভয়াবহ বোমাবর্ষণের প্রেক্ষিতে আলেপ্পোয় ঘোষিত যুদ্ধবিরতি লুপ্ত হয়েছে। তার পর থেকে ৩২০ জন অসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ৮৪০ জন মানুষ আহত অবস্থায় রয়েছে বলে জানাচ্ছে হু। এই জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই শিশু। ক্রমাগত বিমান হানায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। শহরের অধিকাংশ বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায়, বিপন্ন মানুষ লুকোনোর জায়গাও পাচ্ছেন না। প্রাপ্তবয়স্করা নিজেদের প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে বাঁচাতে চাইছেন পরবর্তী প্রজন্মকে। কিন্তু এরিয়াল বমবার্ডমেন্টের মানে সবকিছুই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। মহিলা এবং শিশুরা যেহেতু বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকেন, সেহেতু তাঁরাই সবথেকে বেশি সংখ্যায় হতাহত হচ্ছেন বোমা বর্ষণে।
এইভাবে আর কতদিন?
সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ চ্যানেলে বার বার উঠে আসছে আলেপ্পোর শিশুদের চরম দুর্দশার ছবি। প্রতিবাদ সারা পৃথিবী জুড়েই। কিন্তু এই সমস্যার কোনও আশু সমাধান কেউই দেখতে পাচ্ছেন না। রক্ত, বারুদ আর চুরমার হয়ে যাওয়া বাড়িঘরের মধ্যে সসেমিরা হয়ে রয়েছে একটা গোটা প্রজন্ম। মুছে গিয়েছে অতীত, ভবিষ্যৎও সে অর্থে নিরুদ্দেশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন