প্রিয় বন্ধু হওয়ার দাওয়াই
মুখে মুখে বন্ধু বললেই কিন্তু বন্ধু হওয়া যায় না। ডাকের বন্ধু হওয়া যায়। প্রকৃত বন্ধু হতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় এটা সবারই জানা। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আজকাল “বন্ধু”হতে কেবল মাউসের একটা ক্লিক ছাড়া আর কিছু লাগে না। যদি এতসব বন্ধুর মাঝে কারো প্রিয় বন্ধু হতে চান তাহলে জানা থাকা দরকার এর জন্য কী কী গুণ থাকা চাই। এ ব্যাপারে সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেন- আলিঙ্গন করা, একসাথে খাওয়া দাওয়া করা, উৎসাহ দেয়া, ঘুরতে যাওয়ার মত কাজগুলো করে প্রিয় বন্ধু হয়ে ওঠা যায়। কারণ-
আলিঙ্গন:
আলিঙ্গন করাটা দুজনের কাছেই ভালো লাগবে। কারও আলিঙ্গন মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন নিঃসরণ করে, ফলে আমরা উষ্ণ একটা ভালোলাগার অনুভূতি পাই। এই হরমোন মেজাজ ভালো করে এবং স্ট্রেস কমায়। ফলে বন্ধুত্বের বন্ধন হয় আরও দৃঢ়। এজন্য ইসলামে কোলাকুলির পদ্ধতি অত্যন্ত বাস্তব সম্মত ও উপযোগী।
একসাথে হাঁটা:
শীতের সকাল বা বিকেলের মিষ্টি রোদে কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন বন্ধুর সাথে। এতে বিষণ্ণতার ছায়া মন থেকে দূর হয়ে যাবে। একটুখানি ব্যায়ামও হবে। মোট কথা এতে কোনো ক্ষতি তো হবেই না বরং দুজনের মাঝে বন্ধন দৃঢ় হবে।
আবেগী মুভি দেখা:
মোটিভেশন অ্যান্ড ইমোশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, আবেগি কোনো মুভি দেখার পরে(এবং তা দেখার সময়ে একটু কান্নাকাটি করার পরে) তাদের মেজাজ ভালো হয়ে গেছে দ্রুত। এতে ধরে নেওয়া হয় যে একটু কান্না ঝরতে দিলে আসলে মেজাজটা ভালোই হয়। তাই কোনো কারণে বন্ধুর মেজাজ খারাপ থাকলে তাকে নিয়ে এমন কোনো মুভি দেখুন।
উৎসাহ দিয়ে কথা বলা:
নেতিবাচক কথাবার্তা না বলে বরং উৎসাহব্যঞ্জক কথাই বলুন! গবেষণায় দেখা যায় বন্ধুরা নিজেদের ভালো মেজাজ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। খারাপ মুড কিন্তু আবার ছড়ায় না এভাবে।
একসাথে খেলাধুলা করা:
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়ার এক গবেষণায় জানা যায়-টিম স্পোর্টস সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করে।
ফেসবুকে ভালো কিছু বলে মন ভালো করে দেয়া:
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কথার বেশ বড় একটা ক্ষমতা আছে, তা কী আপনি জানেন? বন্ধুর মন কোনো কারণে খারাপ থাকলে তাকে অনলাইনেই উৎসাহ দিয়ে, আশা দিয়ে একটা মেসেজ করুন। গবেষণায় দেখা গেছে বাস্তব জীবন ছাড়াও ফেসবুকে আপনার ভালো মুডের প্রভাব আপনার বন্ধুদের মাঝেও ছড়ায়।
মন থেকে প্রশংসা করা :
বন্ধুকে তেল দিয়ে নয়, বরং প্রশংসা যদি করতেই হয় তাহলে একেবারে মন থেকে করুন, যা বলার সত্যি করে বলুন। বন্ধুকে এক গোছা টাকা দিলে তিনি যেমন খুশি হতেন, সত্যি প্রশংসা পেয়েও তিনি তেমনি খুশি হবেন!
সবসময় খোঁজখবর রাখা:
ফোনে কথা বলুন, ফেসবুকে চ্যাট করুন, সময় বের করে দুজনে কফিতে চুমুক দিয়ে আড্ডা মারুন। কখনোই একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন না। এই সময়টুকু দুজনেই ভীষণ উপভোগ করবেন। শুধু তাই না, নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে দুজনেরই আনন্দ বাড়বে।
একসাথে খাওয়া দাওয়া করা:
বিশেষ করে বন্ধুর মন যদি খারাপ থাকে, তাহলে আপনি দিনের অন্য কোনো কাজ বাদ দিয়ে হলেও তাকে নিয়ে একটু খাওয়া দাওয়া করে আসুন। গবেষণা বলে এতে মন ভালো হয়ে যাবে, জানায় টাইম।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া:
অন্য কিছুই করতে হবে না। খাওয়া দাওয়া, শপিং, খেলা, মুভি দেখা কিছুই না। শুধুমাত্র কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিন। কোনো কারণ ছাড়াই এই আড্ডায় সবারই স্ট্রেস কমে যাবে অনেকটা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন