প্রেমঘটিত কারণে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মিজানকে হত্যা!
‘প্রেমঘটিত কারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে পাবনা সদর উপজেলার সাধুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র শেখ মিজানকে হত্যা করা হয়েছে।’ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার জীবন হোসেনের (১৫) কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়েছে জীবন। সে সদর উপজেলার সাধুপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নাটোরের লালপুর নানার বাড়ি থেকে জীবনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে তাকে হাজির করা হলে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এরপর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ওসি আরো জানান, গত ১৭ অক্টোবর সকালে পাবনা সদরের চর কোষাখালি লঞ্চঘাট এলাকার একটি ইটভাটার কাছ থেকে স্কুলছাত্র শেখ মিজানের (১২) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে সন্দেহভাজন দুজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দুজনের একজন হলো জীবন। এরপর পুলিশ তদন্তে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে প্রাথমিকভাবে জীবন জড়িত বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ হত্যাকা-ে জড়িত জীবনের সহযোগী আশিক পলাতক রয়েছে।
নিহত মিজান জেলার বেড়া উপজেলার রাজনারায়ণপুর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। সে সদর উপজেলার চর শিবরামপুর গ্রামে তার ফুফু হোসনে আরা’র বাড়িতে থেকে সাধুপাডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুরের মা বেঁচে নেই। আর্থিক অনটনের কারণে বাবা মিজানুর পড়ালেখার খরচ চালাতে পারতেন না। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে সে ফুফুর বাড়িতে থেকে পডালেখা করত।
সম্প্রতি স্কুলের একটি মেয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় তার সহপাঠী জীবন। স্কুল ও গ্রামে এ ব্যাপারে ঝামেলা তৈরি হলে দুই মাস আগে ফুফু তাকে তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেন। বেশ কিছুদিন বাবা সঙ্গেই ছিল মিজান। স্কুলে সমাপনী পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা শুনে গত শুক্রবার সে আবারও চর কোষাখালী গ্রামে যায়। গ্রামে কিছুক্ষণ তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এরপর হঠাৎ করেই আর দেখা যাচ্ছিল না। পরদিন শনিবার সকালে গ্রামের লঞ্চঘাট এলাকায় একটি ইটভাটার পাশে লোকজন তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
গ্রেপ্তারের পর জীবন পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, মিজানের সঙ্গে ওই মেয়েটির বন্ধুত্ব হওয়ায় তা মেনে নিতে পারছিল না। তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে ও ক্ষোভে সে তার আরেক সহপাঠী একই গ্রামের আশিক দিয়ে তাকে ডেকে আনা হয়। পরে দুজনে মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

সিলেটের জঙ্গি নেতা আব্দুল বারি ও শামসু জামিনে মুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা: শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এরবিস্তারিত পড়ুন