তর্জনিতে ছিল অঙ্গুরি৷ বেশ কয়েক বছর৷ আর, ওই ভাবে কারও অঙ্গুরি থাকলে অনেকে এমন-ও মনে করতে পারেন যে, তিনি একা নন৷ তাঁর সঙ্গী-ও রয়েছেন৷ অথচ, ওই সব বছরে তিনি ছিলেন প্রেমিকহীন! অথচ, ওই সব বছরে তাঁর কি না কোনও প্রেমিক-ই জোটেনি! কিন্তু, প্রেম!!

স্বাভাবিক ভাবেই, ওই সব বছরে যে কোনও প্রেমিক-ই ছিলেন না, সেই যন্ত্রণার কথা তাঁর কতজন অনুরাগী-ই-বা আর সহ্য করতে পারবেন! না কি, সহ্য করা যায়! ওই রকম যন্ত্রণায় বিদ্ধ হওয়ার অধ্যায়-ই-বা তাঁর কত জন অনুরাগী মেনে নিতে পারবেন! না কি, মেনে নেওয়া যায় এ ভাবে তাঁর প্রেমিকহীন নির্বাসনের কথা! শুধুমাত্র-ই তাই? ওই ভাবে প্রেমিকহীন থাকার কথাও যে ‘লজ্জা-র শিল্পী’র মনে পীড়া দেয় না, দিতে পারে না, তাও কি সম্ভব!

তা হলে, হৃদয় খুঁড়ে কেউ না কেউ সত্যি-ই বেদনা জাগাতে ভালোবাসেন! না কি, ওই বেদনা-ই আপন ছন্দে খুঁড়ে চলে হৃদয়! অথচ, এই ভাবে প্রেমিকহীন নির্বাসনে বেশ কয়েক বছর কাটাতে হয়েছে ‘লজ্জা-র শিল্পী’কে! যে কারণে হয়তো ওই সব বছরের কথা তাঁকে এখন পীড়া দিচ্ছে! যে কারণে হয়তো, তাঁকে ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে তাঁর ওই সব বছরের সঙ্গীহীন অধ্যায়! তাই কি তাঁকে ফের ওই সব বছরের প্রেমিকহীন যন্ত্রণায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে!

ওই সব বছরে তিনি প্রেমিকহীন ‘নির্বাসনে’র কথা বলেছেন বটে৷ তবে, তিনি কখনও বলেননি তাঁর প্রেমহীন কোনও নির্বাসনের কথা৷ এবং, হৃদয় খুঁড়ে কেউ বেদনা জাগাতে ভালোবাসুন অথবা না-ই-বা বাসুন, সময় যেমন বয়ে চলে আপন খেয়ালে, তিনিও তেমন চলেছেন আপন ছন্দে৷ তিনি, লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি হৃদয় খুঁড়ে-ই হয়তো বেদনার প্রকাশ করেছেন যে, এখন তিনি বুঝতে পারছেন, ওই সব বছরে তাঁর কোনও প্রেমিক-ই ছিলেন না!

কেন ছিলেন না তাঁর কোনও প্রেমিক ওই সব বছরে? তার উত্তর আবার তিনি নিজেই দিয়েছেন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে৷ এবং, ওই সব বছরে তাঁর প্রেমিকহীন ‘নির্বাসনে’র অধ্যায়ের জন্য তিনি ‘ভিলেন’ হিসেবে কার্যত সব দায় চাপিয়ে দিয়েছেন ওই অঙ্গুরির উপরেই৷ এমন-ই প্রকাশ পেয়েছে ‘লজ্জা-র শিল্পী’র ফেসবুক প্রোফাইলের মন্তব্যে৷ তবে, ওই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে কেউ যেমন হতাশ হয়েছেন৷ তেমনই, কেউ আবার এমন সংশয়-ও প্রকাশ করেছেন যে, সত্যি-ই কি তিনি প্রেমিকহীন ছিলেন ইউরোপ/আমেরিকায় তাঁর নির্বাসন পর্বে!!