প্রেমিকার মৃত্যুতে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ধোনি
বর্তমান সময়ে ভারত ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক, তেমনই ভেসে ওঠে মারকাটারি ব্যাটিং স্টাইলের চেনা ছবি। তবে ধোনির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কেউই তেমনভাবে কোনওদিন মাথা ঘামাইনি। কিন্তু, সোশাল নেটওয়ার্ক সাইটের সৌজন্যে তাঁর বর্তমান ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকটাই ওয়াকিবহাল। তাঁর অদেখা জীবন নিয়েই তৈরি হয়েছে বায়োপিক, ‘এম এস ধোনি : দ্য আনটোল্ড স্টোরি।’ আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই এই সিনেমাটি মুক্তি পেতে চলেছে।
এই সিনেমাতেই তুলে ধরা হয়েছে মাহির অজানা এক প্রেমের কাহিনি। ধোনির জীবনের বেশ কয়েকটি অজানা অধ্যায় তুলে ধরেছেন পরিচালক নীরজ পান্ডে। সালটা ছিল ২০০২। তখন সবে ২০’র চৌকাঠ ছুঁয়েছেন ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেট দলে একটা জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। সেইসময়ই তিনি প্রিয়াঙ্কা ঝা নামে এক নারীর প্রেমে পড়েছিলেন। ঠিক করে নিয়েছিলেন বাকি জীবনটা তিনি তাঁর সঙ্গেই কাটাবেন। ইতিমধ্যেই ২০০৩-০৪ সালে ভারতীয় “A” দলের হয়ে জ়িম্বাবোয়ে এবং কেনিয়া সফরের জন্য নির্বাচিত হন।
কেনিয়া এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ়ে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঝকঝকে হাফ সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরিতে দলকে ভরিয়ে দেন মাহি। ৬ ইনিংসে মোট ৩৬২ রান করেন তিনি। এরপরই তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রবি শাস্ত্রীর নজরে চলে আসেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সফরে তাঁর নাম একদিনের দলের জন্য নির্বাচন করা হয়। ইতিমধ্যেই জীবনযুদ্ধে নয়া টানাপোড়েনে পড়ে যান ধোনি। সফর চলাকালীনই খবর পান, এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন প্রিয়াঙ্কা। কোনওরকমে সফর শেষ করেই তিনি দেশে ফিরে আসেন। এই ঘটনার প্রভাব পড়ে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারেও। সিদ্ধান্ত নেন, ক্রিকেট থেকে তিনি একেবারেই সরে আসবেন।
ধোনির বন্ধুরা তো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি হয়ত ক্রিকেট খেলা ছেড়েই দেবেন। কিন্তু, তিনি তো মহেন্দ্র সিং ধোনি! হাজার প্রতিকূলতাকে জয় করেও অবলীলায় বেরিয়ে আসেন। সেবারও তাই-ই হয়েছিল। বাংলাদেশ সফরের জন্য গায়ে জড়িয়ে নিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের জার্সি। শুরু ততটা ভালো হয়নি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। কিন্তু, দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি নিজের জাত চিনিয়ে দেন। ১২৩ বলে ১৪৮ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস দলকে উপহার দেন। গড়ে তোলের ভারতীয় উইকেটরক্ষকের সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোর।
এরপর ধোনির উত্থান ইতিহাসের থেকে কম কিছু নয়। অবশেষে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। ২০১০ সালের ৪ জুলাই কলকাতার মেয়ে সাক্ষী সিং রাওয়াতের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তবে এরপরও ধোনি প্রিয়াঙ্কাকে ভুলতে পারেননি। ধোনির সম্মতি পাওয়ার পরই বায়োপিকে এই অংশটি তুললে ধরার সিদ্ধান্ত নেন নীরজ পান্ডে। তবে প্রথমে ধোনি রাজি হননি। তবে খানিক জোরাজুরির পর তিনি রাজি হয়ে যান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন