প্রেমিকা বয়সে বড়? কী করবেন, কী করবেন না!
ছোটবেলা থেকে ছেলেমেয়েদের এইভাবেই বড় করে তোলা হয় যে বয়সে ছোট মেয়েদের ছেলেরা বড়বেলায় ‘ছোট বোন’-এর চোখে না-ও দেখতে পারে কিন্তু বয়সে বড় মেয়েদের সারা জীবন ‘দিদি’-র চোখেই দেখতে হবে।
সারা ভারতবর্ষ যাঁকে জাতির জনক বলে, সেই মহাত্মা গাঁধী-র স্ত্রী কস্তুরবা-ও কিন্তু ছিলেন বয়সে বড়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স নিয়ে বাঙালিদের সংস্কার সাম্প্রতিক কালে অনেকটাই কেটেছে কিন্তু এই ধরনের বেশিরভাগ সম্পর্কই খুব বেশিদিন টেকে না। তার জন্য অবশ্য ছেলেদের ভূমিকাটাই এখানে প্রধান। এই ধরনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে চাইলে এবং ভালবাসার মানুষকে সারা জীবন পাশে পেতে চাইলে জানতে হবে কী করবেন আর কী-ই বা করবেন না—
১) নাম ধরে ডাকবেন। ঠিক যেমন করে সমবয়সী বন্ধুদের ডাকেন। এতে সম্পর্কে নিজের জায়গাটা যেমন শক্ত হবে, তেমনই প্রেমিকাও আরও বেশি করে সহজ হতে পারবেন।
২) নিছক শারীরিক আকর্ষণে বয়সে বড় কোনও মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে যাবেন না। এতে ক্ষতিটা দু’পক্ষের। কারণ এই মেলামেশাটা কোনও স্থিতিশীল জায়গায় সম্পর্ককে নিয়ে যাবে না। মাঝখান থেকে দু’জনেরই বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হবে। মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
৩) বয়সে ছোট বলে নিজের কমপ্লেক্সের কারণে পৌরুষ দেখাবেন না। প্রেমিকা বয়সে বড় হলে বেশিরভাগ ছেলেদের মধ্যেই সম্পর্কের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার একটা ভয় কাজ করে। এর থেকেই অনেকে রাগারাগি-চেঁচামেচি করে আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয় সম্পর্কের।
৪) মেয়েরা যখন বয়সে ছোট ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তখন তাঁরাও অত্যন্ত ইনসিকিওরিটিতে ভোগেন। তাই বেশিরভাগ সময়েই খুব পজেসিভ হয়ে পড়েন। এটাকে স্বাভাবিক প্রবণতা হিসেবে দেখার চেষ্টা করবেন।
৫) যদি সত্যি এমন কাউকে ভালবেসে থাকেন এবং সারাজীবন তাঁর সঙ্গে কাটাবার কথা ভাবেন তবে মনে মনে প্রস্তুত থাকবেন যে ভবিষ্যতে পরিবারের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হতে পারে এই সম্পর্ক নিয়ে। সেই ঝড় সামলানোর মতো যদি শিরদাঁড়ার জোর না থাকে, তবে এমন সম্পর্কে কখনও যাবেনই না।
৬) নিজের সঙ্গে প্রেমিকার বয়সের ব্যবধান ৭-৮ বছর বা তার বেশি হলে জানবেন, আপনার বয়সী অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে তিনি স্বচ্ছন্দ না-ও হতে পারেন। আপনার সঙ্গে তাঁর নারী-পুরুষ সম্পর্ক কিন্তু আপনার বন্ধুদের তাঁর অপরিণত মনে হতেই পারে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে হ্যাংআউটে গেলে প্রেমিকাকে নিয়ে যাবেন কি না তা ভাল করে ভেবে দেখবেন।
৭) কখনও এমনটা তাঁকে বলবেন না যে অমুকটা পরলে বেশি বয়স্ক দেখতে লাগে বা তমুক হেয়ারস্টাইলে তাঁকে আরও অল্পবয়সী মনে হয়। এতে তাঁর নিজের বয়স ও চেহারা নিয়ে কমপ্লেক্স বেড়ে যাবে এবং সম্পর্কে অকারণ দূরত্ব তৈরি হবে।
৮) বয়সে বড় একজন মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতাও বেশি হয়। এটা মেনে নেবেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মতামত বা পরামর্শকে উড়িয়ে দেবেন না।
৯) প্রেমিকার বয়স তিরিশের কোঠায় হলে পরবর্তীকালে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হতে পারে সেই নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। দু’জনে এখন থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
১০) প্রেমিকাকে সম্মান করুন, তাঁর অভিজ্ঞতার মূল্য দিন কিন্তু তিনি যে বয়সে বড় সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন