প্রেমিক-প্রেমিকার ভয়াবহ কান্ড : অতঃপর একটি খুনের নেপত্যের গল্প (ভিডিও)
প্রাপ্ত বয়স্কদের স্বাধীনতা নিয়ে সচারচরই পিতামাতার সাথে দ্বন্দ্ব লেগেই থেকে। মাঝে মধ্যে বাক স্বাধীনতার নামে সন্তানরা উশৃঙ্খল হয়ে উঠে। নিজের রাগ দমাতে করে ফেলে উদ্ভব কাহিনী। ঘরে বাবা বা বড় ভাই থাকলেতো কথাই নেই করা শাসনে থাকতে হয় প্রাপ্ত বয়স্কদের।
ঘরে সময়মত মত ফেরা। রাত করে বাড়ি ফিরলেতো লংঙ্কা কান্ড ঘটিয়ে দিতে পারে। আর তা যদি হয় একজন মেয়ে তাহলে ষোলকলাপূর্ণ। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে বা ছেলে যেই হোক নিজের আনন্দ ফূর্তির জন্য বাবা মায়ের কাছে মিথ্যা বলতে দ্বিধা করে না। এই যেমন কোন ছেলে বা বয় ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যাবে তা বাসায় জানিয়ে দেয় যে বান্ধবীর বাসায় অংক করতে যাবে।
এমনই একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে মালা। বাবা মায়ের কঠোর শাসনে রয়েছে। ঘটনার দিন মালার বান্ধবী জোনাকির বার্থ ডে। ভাই মালাকে বান্ধবীর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে। মালা ভাইকে জানালো বার্থ ডে পার্টির পর জোনাকির সাথে মার্কেটে যাবে সাথে জোনাকির বাবাও থাকবে। এবং তিনিই ওকে বাড়িতে ড্রোপ করে দিয়ে যাবে। কিন্তু রাত যত বাড়তে থাকলো মালার কোন হদিস পাওয়া গেল না। মোবাইলও বন্ধ। বান্ধবীকে ফোন করা হল। বান্ধবী জানালো যে মালাতো বিকেলেই মার্কেট থেকে বাড়ির দিকে একাই চলে গেছে এবং তার বাবা ব্যবসার কাজে ব্যাংকক আছে। ভাই আর মালার বাবা বুঝে ফেলল যে মালা তাদের মিথ্যে বলেছে।
উপায়ন্তর না দেখে তারা থানাতে পুলিশের সাহায্য চাইলো। পুলিশ বিষটির মধ্যে রহস্যের গন্ধ খুঁজতে থাকলো। বাবা ভাইকে সঠিকভাবে তথ্য দিতে বলল। বাধ্য হয়ে বাবা আর ভাই জানালো জাদব নামের তাদের এলাকারই একজন মালাকে ফুসলাচ্ছিল। পুলিশ জানতে চাইলো তাদের মধ্যে কোন প্রেম আছে কিনা। মালার বাবা পুলিশের এ কথা প্রত্যাখ্যান করল।
তবে ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, মালা আর জাদবের মধ্যে প্রেমের ঘটনা মালার পরিবার জেনে যায়। মালার বাবা আর ভাই উত্তেজিত হয়ে জাদবের বাবাকে শাসিয়ে আসে।
পরে পুলিশ জাদবের বাড়িতে খোঁজে গেলে তার বাবা জানান- লালন একটি বালির ডেলিভারি নিয়ে ট্রাকে দূরে গেছে। পুলিশ ট্রাকের নম্বর এবং যেখানে ডেলিভারি তার ঠিকানা নিয়ে অভিযানে নামল। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল জাদব ঠিকঠাকি ডেলিভারি দিয়ে আবার ফিরছিল। পথিমধ্যে পুলিশ সেই ট্রাকের খোঁজ পায়। তবে তা ছিল জংগলের পাশে পড়া। ট্রাকটির আশে পাশে খুঁজে পাওয়া গেলে মালার ব্যাগ, মোবাইল এবং লাশ। তবে লাশটি বিকৃত অবস্থায় ছিল যা পুলিশ দেখে চিনতে পারেনি। পরবর্তীতে ব্যাগের মধ্যে থাকা পরিচয় পত্র দেখে নিশ্চিত হয় এটিই হারিয়ে যাওয়া মালার লাশ।
এর পর থেকে শুরু হয় পুলিশের তল্লাশি। মালার সাথে লালনও নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশের চোখ পরে লাললেন বাবার এসিটেন্ট অজিত গরের উপর। গ্রেপ্তার করা হয় অজিতকে। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে স্বীকার করে যে সেদিন ও নিজেই লালন আর মালাকে নিয়ে গিয়েছিল। আর লালন এখন কোথায় তাও জানিয়ে দেয়। জট খুলতে শুরু করে মালা হত্যাকান্ডের।
অজিতকে সাথে নিয়ে পুলিশ যায় লালনের কাছে। সেখানে গিয়ে উদ্ধার করা হয় জীবন্ত মালাকে। কিন্তু তা কিভাবে? আর যার লাশ পাওয়া গেল সেই বা তাহলে কে?
পুরো এই ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে ক্রাইম দস্তক নামের একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে। রহস্যের জট খুলেছে পুলিশ। কে সেই মুত্যু মেয়ে কেনই’বা তাকে খুন করা হয়েছে। আর মালাই কিভাবে এখনও জীবিত রয়েছে।
ভিডিওটি দেখতে নিচে ক্লিক করুন
https://youtu.be/WlGZpTUrDS8
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন