প্রেম করে নিজের স্বপ্নের রাজপুত্রকে বিয়ে করার স্বপ্ন কমবেশি সকল মেয়েই দেখে থাকেন। এবং অনেকেই নিজের মনের মানুষটিকে বিয়ে করতেও পারেন। কিন্তু তারপর কী হয়? তারপর যা ঘটে সেটার প্রত্যাশা কোন মেয়েই করেন না। কিন্তু হ্যাঁ, ঘটনাগুলো হয়। প্রেম করে বিয়ে করার পর প্রত্যেক মেয়েই এমন কিছু সত্য আবিষ্কার করতে পারেন, যেটা তিনি আগে কখনোই ভাবেন নি। এমনকি নিজের প্রেমিকের ব্যাপারেও বিচিত্র কিছু ব্যাপার আবিষ্কার করতে পারেন তারা!

জীবন মোটেও সিনেমা কিংবা রূপকথা নয়

বিয়ের আগে জীবনটাকে রূপকথাই মনে হয়। বিশেষ করে মনের মানুষটার সাথে প্রেম করে বিয়ে হওয়ার সময়ে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই সব মেয়ে আবিষ্কার করেন যে জীবন রূপকথা নয়। এখানে “হ্যাপিলি এভার আফটার” হয় না। ভালো মন্দ মিলিয়েই জীবন।

পৃথিবীতে মা-বাবার চাইতে বেশী ভালো কেউ বাসে না

শুধু প্রেম করে বিয়ে কেন, যে কোন বিয়েতে কেবল শ্বশুর বাড়ি যাবার পরই অনুভব করা যায় মা-বাবার ভালোবাসা। প্রেমের জন্য পিতা-মাতার সাথে বেয়াদবি করে থাকলে আফসোসটা আরও বেশী হয়।

মুখে যাই বলুক না কেন,ছেলেরা সব মেয়েকে একই ভাবে

প্রেমের সময় যে ছেলেটি বলত “তুমি সবার চাইতে আলাদা”, বিয়ের পর সেই পুরুষটি প্রায়ই বলেন যে-“তোমরা সব মেয়েরাই এক!” … হ্যাঁ নারীরা, এটাই বাস্তবতা! প্রেমিক যখন স্বামী হয়, পরিস্থিতি তখন অনেকটাই বদলে যায়।

দারুণ স্মার্ট প্রেমিক মানুষটা প্রচণ্ড বোরিং আর অলস স্বামীও হতে পারে

প্রেমের সময় যে মানুষটাকে দারুণ আকর্ষণীয় আর চটপটে মনে হতো, বিয়ের পর একটানা দেখতে দেখতে তাকেই বোরিং মনে হয়। আর ছুটির দিনে তো রীতিমত আলসে। বিশেষ করে তখন, যখন ছুটির দিনেও মেয়েদের সংসার সামলাতে হয় আর পুরুষটি আরাম করে।

বাইরে যেমনই হোক, ঘরে সে মামা’স বয়

প্রেমের সময় মুখে মুখে যাই বলুক না কেন, বিয়ের পর সব ছেলেই মায়ের বাধ্যগত হয়ে যায়। হ্যাঁ, এটাও কঠিন বাস্তবতা। বিষয়টা এমন হয় যে মায়ের অনুমতি ছাড়া কিছুই করে না তখন তারা। স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে যেতে হলেও মায়ের কথা ভাবে। বিশেষ করে প্রেমের বিয়েতে এমন হয় বেশী।

মোটেও ঘরের কাজে সাহায্য করতে রাজি নয় স্বামীরা

খুব রোমান্টিক সংসারের স্বপ্ন দেখেছেন, যেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে কাজগুলো ভাগ করে নেন? ভুলে যান! জীবন সিনেমা নয় আর বাংলাদেশে এমন মোটেও ঘটে না! স্ত্রী অফিস করার পরও সব কাজ স্ত্রীকেও করতে হয়।

স্ত্রী বাদে বাকি সব মেয়েদেরই ভালো লাগে পুরুষের

হ্যাঁ, বিয়ের কিছুদিন পরই এটা আবিষ্কার করেন বেশিরভাগ নারী। প্রেমের সময় যে মানুষটি শুধু তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকতেন, বিয়ের পর তাকে বাদ দিয়ে সব মেয়েকেই দেখতে শুরু করেন। হ্যাঁ, প্রায় সব পুরুষই। স্ত্রী পাশে থাকলেও তারা অন্য নারীর দিকে তাকিয়ে থাকেন।

প্রচণ্ড ঈর্ষাকাতর হয় স্বামীরা

বিয়ের আগে বন্ধুদের নিয়ে সমস্যা থাকলেও বিয়ের পর স্ত্রীর বন্ধুদের নিয়ে অকারণেই ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েন ছেলেরা। আর সেটা নিয়ে ঝামেলাও অনেক বেশী হতে থাকে। অকারণে সন্দেহ করলে ঝামেলা তো হবেই।

নিজের জীবন বলতে কিছুই বাকি নেই

প্রেম করে বিয়ে হলে কিছু কারণে চাপটা অনেক বেশী থাকে। মনে হয় সকলের নজর যেন তাঁদের ওপরেই। শ্বশুরবাড়ি থেকেও চাপ থাকে। আর সেই চাপের কারণেই অনেক বেশী সময় দিতে হয় সংসারকে। নিজের ব্যক্তিগত সময়টুকুন আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। অতীত জীবনের সাথে একরকম সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।