প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হত্যার জন্য হাজারো হুমকি
কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মেনে নিতে পারছেন না দেশটির অনেক নাগরিক। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এমনকি হত্যার হুমকি দিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলামেলা বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন মার্কিন নাগরিকরা। এধরনের হাজার হাজার হুমকি সম্বলিত বক্তব্য থেকে দু’চারটি তুলে ধরেছে এক প্রতিবেদনে ডেইলি স্টার ইউকে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সমর্থকরা তো বটেই, দেশটির অনেক নাগরিকই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মেনে নিতে পারছেন না। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটছে এবং এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ট্রাম্পকে সরাসরি হত্যার জন্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য আসছে। সভ্যতা ও ভব্যতার বালাই না রেখেই এধরনের হত্যার হুমকি আসছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
হিলারি ক্লিনটনের অনেক সমর্থক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার বিষয়টি কোনো পদক্ষেপ হতে পারে কি না নাকি তাকে হত্যাই করা হবে এমন প্রশ্ন তুলে টুইট করছেন। মানসিকভাবে কতটা অসুস্থ হলে কারো পক্ষে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে এধরনের হত্যার হুমকি দেয়া যায়। এদের মধ্যে একজন টুইট করে বলছেন, ২০১৭ সালের আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প হত্যা হতে পারেন এবং এধরনের সুযোগ যে রয়েছে সে জন্যে তিনি বাজী ধরতে পারেন।
এদের একজন টুইটারে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ‘আমি জানি না আমাদের কোনটি করা ভাল হবে, ট্রাম্পকে হত্যা নাকি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা’।
আরেকজনের বক্তব্য হচ্ছে, ‘ আমি এখনো বিশ্বাস রাখি হত্যার উদ্যোগেই, একজন আমেরিকান স্নাইপারের হাতে নির্ভর করছে সবকিছু’।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা এধরনের বক্তব্য টুইট করছেন, আর তা হচ্ছে, ‘ট্রাম্পকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বিষয়টির নিস্পত্তি হতে পারে এবং আমরা ট্রাম্পকে হত্যার দৃশ্য খুব শীঘ্রই দেখার সুযোগ পেতে পারি’।
এধরনের হাজার হাজার হত্যার হুমকি সম্বলিত বক্তব্য ও তীব্র আক্রমনাত্মক উস্কানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে অনবরত। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় সারাবিশ্ব থেকে ইন্টারনেটে নির্বাচনে জয়লাভ করলেও ট্রাম্পের বাজে মন্তব্য করা হচেছ। তার জয়লাভকে বলা হচ্ছে অবিশ্বাস্য।
ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য রাখছিলেন তখন তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। মঞ্চ থেকে তিনি সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ব্রিটিশ নাগরিক মাইকেল স্ট্যানফোর্ড একজন পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ওই সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। এমনকি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তিনি জানান, ট্রাম্পকে হত্যার জন্যে তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন।
এমনকি রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্প সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির মত গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের চারজন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে। ১৮৬৫ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি তখন ওয়াশিংটনে ফোর্ড থিয়েটারে একটি নাটক দেখছিলেন। ১৮৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জেমস এ গারফিল্ডকে দুইবার গুলি করা হয় যখন তিনি বাল্টিমোর রেইলরোড স্টেশনে আসেন। এর দুই সপ্তাহ পর তিনি আঘাতজনিত কারণে তিনি মারা যান। ১৯০১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলিকে নিউইয়র্কে টেম্পল অব মিউসিক হলে এক নৈরাজ্যবাদী গুলি করে হত্যা করে। এরপর ডালাসে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে এক শোভা যাত্রায় বন্দুকধারীর গুলিতে মারা যান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন