প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনে নামব: ওমর সানি
আন্দোলনের অংশ হিসেবে মানববন্ধন করল চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টরা। ছবি আমদানি-রপ্তানি নীতির সঠিক নিয়ম না মেনে কলকাতার ছবি ‘কেলোর কীর্তি’ বাংলাদেশে প্রদর্শনীর প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। আধ ঘণ্টার এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখার নেতারা।
পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকর রহমান গুলজার বলেন, ‘চুক্তির দোহাই দিয়ে তাঁরা হালের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি এখানে আনছেন। আর আমাদের পুরোনো ছবি নিয়ে গিয়ে ফেলে রাখছেন। এখানে চলচ্চিত্রের সঙ্গে হাজারো মানুষ জড়িত। তাঁদের স্বার্থে এই শিল্পকে বাঁচাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি। কোনোই সুফল আসেনি। তার প্রমাণ ‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তি পেয়ে গেল।’
তিনি জানান, এখন প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘আমরা সংস্কৃতির আদান-প্রদান চাই। কিন্তু একটা সঠিক নিয়মের মধ্যদিয়ে তা হোক। আমার বিশ্বাস আমাদের এই প্রতিবাদের ভাষা প্রধানমন্ত্রীর কানে গেলে তিনি নিশ্চয়ই একটি সমাধান দেবেন।’
মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ওমর সানি বলেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ দল বিদেশি চলচ্চিত্র এখানে আনতে সহযোগিতা করছে। কিন্তু আমরা তা মেনে নেব না। আমরা বারবার কেন এখানে এসে দাঁড়াব? আমাদের চলচ্চিত্রে ভালো হোক, মন্দ হোক এটা টিকিয়ে রাখতে আজ রাজ পথে নেমেছি। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনে নামব।’
মানববন্ধনে পরিচিত তারকা নেই
মানববন্ধনে পরিচালক সমিতির নেতাদের দেখা গেলেও শিল্পী সমিতি, প্রযোজক সমিতির প্রথম সারির প্রায় কোনো নেতাকেই দেখা যাইনি। শিল্পী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে নতুন-পুরোনো জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ছিলেন না এই প্রতিবাদ সমাবেশে।
মানববন্ধনে উপস্থিত জায়েদ খানকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিনয় শিল্পীরা কথায় আছে কিন্তু কাজে নেই। তাঁরা সবাই-ই তো যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করছেন। তাঁরা এই আন্দোলনে আসতে হয়তো ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারছেন না, আমাদের চলচ্চিত্র ধ্বংস হয়ে গেলে তাঁদেরই তো সমস্যা। তাঁরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন।’
মানব বন্ধনে না থাকা প্রসঙ্গে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির যুগ্ম-আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমরা একতরফা বিনিময়ের বিপক্ষে কিন্তু সাফটা চুক্তিতে যা আছে, তার বিরুদ্ধে নয়। তাই মানববন্ধন, কাফনের কাপড় পরে আনন্দ করে লাভ হবে না। আমাদের জায়গামতো গিয়ে কথা বলে এই বিনিময় নীতির সমাধান চাইতে হবে।’
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান আউটডোর শুটিংয়ে থাকার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান। কক্সবাজারের শুটিং লোকেশন থেকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্পী সমাজ এই আন্দোলনের শতভাগ পক্ষে। আমরাই তো আন্দোলনটি শুরু করেছি। ফিরে নতুন কর্মসূচিকে অংশ নেব।’
‘কেলোর কীর্তি’ প্রদর্শনে হুমকি!
আজ শুক্রবার দেশের প্রায় ৪০টি প্রেক্ষাগৃহে ‘কেলোর কীর্তি’ মুক্তি পেয়েছে। তবে হুমকির মুখে ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে ছবিটি নামিয়ে ফেলারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রেক্ষাগৃহগুলো হলো বলাকা, শ্যামলী, আনন্দ ও এশিয়া। এ ব্যাপারে ছবিটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজের উপদেষ্টা বিজয় খেমকা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ছবিটি চালানোর জন্য এই চারটি হলের বুকিং স্লিপও কাটা হয়েছিল। কিন্তু গতরাতে হঠাৎ করেই এই সব হল মালিকেরা তাঁদের হলে “কেলোর কীর্তি” প্রদর্শনে অপারগতার কথা আমাদের জানান।”
তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে কে বা কারা ছবিটি না চালানোর জন্য হল মালিকদের নাকি চাপ দিয়েছেন।
শ্যামলী হল কর্তৃপক্ষের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মুঠোফোনে তিনি বলেন, “‘কেলোর কীর্তি” চালানোর কথা ছিল। এখন “শিকারি” চলছে। এর বেশি আর কিছুই বলতে চাই না।’ এতটুকু বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
হুমকির বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘আমরা কাউকে কোনো হুমকি দিয়ে ছবি হল থেকে নামাইনি। আমি মনে করি দেশীয় চলচ্চিত্র রক্ষার্থে প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা নিজে থেকেই কাজটি করেছেন।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন