পড়া না পারায় শিক্ষার্থীদের পিটুনি : শিক্ষক বরখাস্ত
ক্লাসের পড়া তৈরী করে না আসার অপরাধে শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরু্দ্ধে।
শিক্ষকের পিটুনিতে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয়রা গতকাল সোমবার স্কুলে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার পানি খাওয়ার ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার দুপুর ২টার দিকে শিক্ষক আব্দুল কাদের খান পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় ক্লাসে উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষার্থী পড়া না পারার কারণে মারধর শুরু করেন তিনি।
এ সময় তার পিটুনিতে রিনা আকতার, তৃষ্ণা রানী ও বিউটি রানী নামের তিন ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি স্কুলের পাশের এক বাড়িতে নিয়ে ওই তিন ছাত্রীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অভিভাবকরা খবর পেয়ে তাদের সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যান। এখন ওই তিন ছাত্রী তাদের নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিঠুন বর্মণ। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জেনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। সে অনুযায়ী সোমবার লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নবেজ উদ্দিন সরকার অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন।
এদিকে সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয়রা। এ সময় তারা স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তের খবরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের খান জানান, প্রতিনিয়তই ওই তিন ছাত্রী পড়াশোনা না করে বিদ্যালয়ে আসত। সে কারণে তিনি তাদের সামান্য মারধর করেছেন।
পানি খাওয়ার ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খগেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শিক্ষক আব্দুল কাদের খান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যেমন করেছেন তা তিনি একজন শিক্ষক হিসেবে কোনোভাবেই করতে পারেন না।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, ঘটনা জানার পর-পরই সহকারী শিক্ষা অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়। রিপোর্ট পাওয়ার পর দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি পত্র পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নবেজ উদ্দিন বলেন, নির্যাতিনকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু
লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া ৩টি বগি উদ্ধারবিস্তারিত পড়ুন
পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অণুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় নাগরিকবিস্তারিত পড়ুন
ভিক্ষুক মুক্ত হচ্ছে লালমনিরহাট জেলা
মানুষের দ্বারে দ্বারে আর ভিক্ষাবৃত্তি নয়। সরকারই নিচ্ছে ভিক্ষুকের দায়।বিস্তারিত পড়ুন