সোমবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

ফল নাকি ফলের জুস- কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?

প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী ১ গ্লাস ফলের জুস ১ বাটি তাজা ফলের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। আসলেই কি এটি সত্যি নাকি ভুল ধারণা! চলুন জেনে নিই বিস্তারিত যাতে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ফলের খোসায় ক্যারোটিনয়েড ও ফ্লাভোনয়েড থাকে বলে খোসা সহ ফল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফলের জুস খেলে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

ঘরে তৈরি জুস খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত কিন্তু অনেক পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ফাইবার পাওয়া যায়না। আস্ত ফল খেলে তৃপ্তি পাওয়া যায় মূলত ফাইবারের জন্যই। এছাড়াও ফল খেলে পেট ভরে কিন্তু জুস খেলে তা হয়না।

প্যাকেটজাত ফলের জুসগুলোতে আসল ফলের রসের চেয়ে বেশি পরিমাণে মিষ্টিকারক ও গ্যাস মেশানো থাকে যা কোমল পানীয়ের মতোই ক্ষতিকারক। একারণেই বাজারের প্যাকেটজাত ফলের জুস থেকে পুষ্টি পাওয়ার পরিবর্তে অনেকবেশি ক্যালরিই পাওয়া হয়। এবং এদের মধ্যে প্রিজারভেটিভ ও থাকে।

ক্যামব্রিজের মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল এর হিউম্যান নিউট্রিশন রিসার্চ ইউনিট এর ডায়েট এন্ড অবেসিটি রিসার্চ এর প্রধান সুসান জেব বলেন, “তিনি ফলের জুসকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে পাননি”।

নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রিশনের অধ্যাপক পপকিন গার্ডিয়ান পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ফলের জুস ও ফলের স্মুদি হচ্ছে “নতুন বিপদ”। তিনি আরো বলেন, “১ টি বা ২ টি কমলা খেলে আপনার যেভাবে পেট ভরবে ৬ টি কমলা দিয়ে স্মুদি তৈরি করে খেলেও তেমনি ভাবে পেট ভরার অনুভূতি পাবেন না। তিনি তার সমগ্র রচনায় এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, স্মুদি খেলে সামগ্রিক খাবার খাওয়ার অনুভূতি পাওয়া যায়না যা পাওয়া যায় আস্ত ফল খেলে”।

লাইফস্টাইল এন্ড অবেসিটি কনসালটেন্ট নাইনি সেটালভাদ এর মতে – “তাজা বা প্যাকেটজাত জুস পান করা উচিৎ নয়। ২৫০ মিলিলিটারের জুসে ১০ চামচ চিনি থাকে যা তাৎক্ষণিকভাবে এনার্জি বৃদ্ধি করলেও অবিলম্বে ক্লান্তি, তন্দ্রা ও অস্বস্তিবোধ সৃষ্টি করতে পারে। এতে কোন ফাইবার থাকেনা বলে পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করেনা। ২৫০ মিলিলিটারের কমলার জুসে ৫-৬ টি কমলা লাগে। আপনি যদি ৫-৬ টি কমলা খান তাহলে আপনার পেট ভরে যাবে কিন্তু ১ গ্লাস অরেঞ্জ জুস খেলে আপনার পেট ভরবে না এবং আপনার আরো খেতে ইচ্ছা করবে। তাই ফলের জুস খাওয়ার চেয়ে ফল খাওয়াই ভালো”।

তবে মনে রাখবেন অসুস্থ, বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য এনার্জি ও পুষ্টির উৎস ফলের জুস এবং সেটা অবশ্যই ঘরে বানানো হতে হবে।

রঙিন ও আকর্ষণীয় ফলের জুসের বোতল আপনার তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পান করলে তা শুধু আপনার পাকস্থলীর ক্ষতিই করে। তাই চিনিতে পরিপূর্ণ, ফাইবার শুন্য ও প্রিজারভেটিভ যুক্ত ফলের জুস পান করবেন নাকি পরিপূর্ণ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ আস্ত ফল কড়মড় করে চিবিয়ে খাবেন তা আপনিই ঠিক করুন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

মানবদেহে আদার অনেক উপকার

আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন

রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন

জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন

  • ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু
  • কোন খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
  • ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • ফুড সিস্টেম ড্যাশবোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহজ করবে : খাদ্য সচিব
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বিশ্বের শক্তিশালী এমআরআই মেশিনে মস্তিষ্কের প্রথম চিত্র প্রকাশ
  • H5N1 ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কোভিডের চাইতে 100 গুণ বেশি বিপজ্জনক
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?