ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত কাশিমপুর কারাগার
হরকাতুল জেহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের ফাঁসির দন্ড বাস্তবায়নের প্রস্তুতি রয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। তবে আব্দুল হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজের কোনো কাগজপত্র কারাগারে আসেনি। আসামাত্রই রায় বাস্তবায়নে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জৈষ্ঠ্য জেল সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা শুনেছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আমরা পাইনি।
আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য কারা মহা পরিদর্শকের নির্দেশক্রমে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে আমরা বিধিমোতাবেক তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ তাকে রায় পড়ে শোনানো হয় এবং ২৩ মার্চ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার মৃত্যু পরোয়ানা আসে। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে মুফতি আব্দুল হান্নান প্রাণভিক্ষার আবেদন করে। তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল একই রাতে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মুফতি হান্নান ২০১৩ সাল থকে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তবে হাজিরা দেয়ার জন্য এ কারাগার থেকে দেশের বিভিন্ন আদালতে নেয়া হয়।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন জঙ্গির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাই কোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারী শেষ হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঢাকায় সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছেন।
সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদন্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।
হাই কোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত বছরের ২৮ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করে।
আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন