ফাইনালেও ম্যাচ সেরা সামিত প্যাটেল?
সত্যিই ক্রিকেট; বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট অনিশ্চয়তায় ভরা। এমনিতেই বারবার বহুবার বলা হয় ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের পরতে পরতে অনিশ্চয়তা। যার শেষ বলে কোনো কথা নেই। কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। তার প্রমাণ এ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটস ও রাজশাহী কিংসের মোকাবিলা।
শক্তি ও সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা রাজশাহী মাঠের লড়াইয়ে সব সমীকরণ ও হিসাব-নিকাল ভুল প্রমাণ করে জিতেছে।
সেটাই শেষ নয়। এবারের বিপিএলে ঢাকা ও রাজশাহী ম্যাচে আরও একটি হিসাব গড়মিল হয়েছে। এখন পর্যন্ত রবিন লিগের দুই পর্বে ঢাকা ও রাজশাহী মোকাবিলায় নৈপুণ্যের দ্যুতিতে রাজশাহীর ইংলিশ অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল ছাপিয়ে গেছেন দু’দলের সবাইকে।
তার ব্যাট ও বলের আলো ছড়ানো পারফরম্যান্সে ম্লান ঢাকার কুমারা সাঙ্গাকারা, ডোয়াইন ব্রাভো, আন্দ্রে রাসেল ও সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্ব তারকা এবং নিজ অধিনায়ক ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অন্যতম সফল স্পেশালিষ্ট ড্যারেন স্যামি এবং এবারের আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান সাব্বির রহমান রুম্মন।
এতগুলো তারকাকে পেছনে ফেলে দুইবারের মোকাবিলায় ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাজশাহীর স্যামিত প্যাটেল।
এ ইংলিশ ক্রিকেটারের নৈপুণ্যেই রবিন লিগে দু’বার জিতেছে রাজশাহী। প্রথমবার ৬ উইকেট আর পরেরবার ৩ উইকেটে।
১১ নভেম্বর এই শেরেবাংলায় প্রথম দেখায় বল ও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল সামিত প্যাটেল। বাঁ-হাতি স্পিন দিয়ে ঢাকার তারকাদের হাত খুলে খেলা, চটকদার মার থেকে বিরত রাখলেন। তার ৪ ওভারের স্পেলে রান উঠল মোটে ২০। ঢাকার মারকুটে ওপেনার মেহেদী মারুফ ও লঙ্কান গ্রেট মাহেলা জয়বর্ধনের উইকেট জমা পড়ল তার পকেটে। ঐ মাপা বোলিংয়ে ঢাকা থামল ১৩৮ রানের মাঝারি সংগ্রহে। এরপর ব্যাট হাতে দুর্বার সামিত প্যাটেল ৪৪ (২৫ বলে) রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দিলেন জয়ের বন্দরে।
দ্বিতীয় লড়াইটি হয়েছে ২১ নভেম্বর চট্ট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সেখানেও ম্যাচ সেরা সামিত প্যাটেল। শুধু তার উত্তাল উইলোবাজির কাছেই হার মেনেছে ঢাকা। ১৮২ রানের বিশাল স্কোর গড়ে শেষ রক্ষা হয়নি সাকিব বাহিনীর। ৬ ছক্কা আর ৫ বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ৩৯ বলে ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংসটিই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।
৬ টেস্ট, ৩৬ ওয়ানডে আর ১৮ টি-টোয়েন্টি খেলা এ ইংলিশ অলরাউন্ডার রান তোলা ও উইকেট শিকারে অনেকের চেয়ে পিছিয়ে। ১৪ খেলায় ২৭১ রান করেন। ১৪ নম্বর। বোলিংয়েও শীর্ষ দশে নেই। ১৪ খেলায় ১০ উইকেট ঝুলিতে। পুরো আসরে তার তিনটি ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দুটি ঢাকার বিপক্ষে। অন্যটি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের সাথে। কে জানে সব নামি-দামি তারকাকে পেছনে ফেলে শুক্রবারের ফাইনালে সেই ঢাকার বিপক্ষে আবার ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেবেন সামিত প্যাটেল?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন