ফাইনালের আশা ভালোভাবেই টিকিয়ে রাখলো বাংলাদেশ
এই জন্যই তো ক্রিকেট এতটা উপভোগ্য, আকর্ষণীয়। ব্যাটিংয়ে শুরুটা জঘন্য হলো। বোলিংয়ের শুরুটাও ছিল হতাশার। কিন্তু ‘দুই শুরুর হতাশা’ ছুড়ে ফেলে শ্রীলঙ্কাকে ২৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে লঙ্কানদের বিপক্ষে এটা প্রথম জয় মাশরাফিদের। গুরুত্বপূর্ণ এ জয়ের ফলে এশিয়া কাপে ভালোভাবেই টিকে থাকল বাংলাদেশ। ফাইনালে ওঠার রাস্তা অনেকটাই সুগম হলো এখন।
প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আমিরাতকে ৫১ রানে হারায় টাইগাররা। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে বুধবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আজ মিরপুরে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৪৭ রান করেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৪ রান করে শ্রীলঙ্কা।
১৪৮ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনার। প্রথমে সহজ ক্যাচ ছাড়েন সৌম্য। আর পরেরটা ড্রপ করেন রিয়াদ। জীবন পেয়ে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন দিলশান ও চান্দিমল।
অনেকদিন ধরেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না সাকিব আল হাসান। এদিন পারলেন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ওপেনিং জুটি ভাঙ্গেন তিনিই। ৯ বলে ১২ করার পর দিলশানকে ফেরান সাকিব। ওপেনিং জুটি ভাঙ্গলেও চান্দিমাল- শিহান জয়াসুরিয়া বাংলাদেশের জন্য প্রচণ্ড মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
১ উইকেট শ্রীলঙ্কার রান ৭৫। ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার পথে। এবার দলকে পথ দেখান অনিয়মিত বোলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, চান্দিমালকে ফেরান ৩৮ রানে। আর ২৬ রানে জয়াসুরিয়াকে আউট করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন সাকিব।
এরপর পেরেরা (৪), শ্রীবর্ধনে (৩) ফিরে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। পেরেরাকে ফেরান মুস্তাফিজ, আর সিরিবর্দনের উইকেট পান মাশরাফি। বাংলাদেশের জন্য যৎসামান্য চিন্তার কারণ ছিলেন ম্যাথুজ। ১২ রানে তাকে ফেরান আল-আমিন। এরপর জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে আল-আমিন ৩টি, সাকিব ২টি, মাশরাফি, মুস্তাফিজ ও রিয়াদ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে সাব্বিরের ৫৪ বলে ৮০ রানের দারুণ ইংনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ, রীতিমত দু:স্বপ্নের মতো। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ফিরে যান মোহাম্মদ মিথুন (০)। এই ওভারেই নুয়ান কুলাসেকারার বলে ম্যাথুজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার (০)। স্কোর বোর্ডে তখন রান ২ উইকেটে ২। এরপর পঞ্চম ওভারে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম (৪)।
দলের চরম বিপদে হাল ধরেন সাব্বির রহমান। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ৮২ রানের পার্টনারশীপ গড়েন তিনি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে দুশমান্থ চামিরার বল তুলে মারতে গিয়ে শিহান জয়াসুরিয়ারর হাতে ধরা পড়েন সাব্বির রহমান। তবে তার আগে কাজের কাজটি করে যান। দলবে বিপদ থেকে টেনে তুলে ভালো জায়গায় নিয়ে যান। ফেরার আগে ৫৪ বল খেলে ৮০ রান করেন তিনি (দশটি চার ও তিনটি ছয় )। টি-টোয়েন্টিতে সাব্বিরের এটি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস এবং বাংলাদেশের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
সাব্বির ফিরে যাওয়ার পর ৩২ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ১৮তম ওভারে চামিরার বলে চান্দিমালের হাতে ধরা পড়েন তিনি। শেষ ওভারে ম্যাথুজের হাতে ক্যাচ হন নুরুল হাসান সোহান (২)। আর শেষ বলে রান আউট হন মাশরাফি বিন মুর্তজা (২)। তবে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে দুশমান্থ চামিরা ৩টি, নুয়ান কুলাসেকারা ১টি ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন