”ফিফটি, সেঞ্চুরি এগুলো আমার কাছে বড় নয়”
টি-টোয়েন্টি মানেই চার – ছক্কার বৃষ্টি। এমনটাই গ্রামার মনে করলেও সিঙ্গেলও যে এড়ানো যাবে না এটা মনে রাখতে হবে। একদিনের ম্যাচ গুলোতে বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখে গেলেও টি-টোয়েন্টিতে পিছিয়ে আছে অনেকটাই। জিম্বাবুয়ের সাথে দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ এগিয়ে থাকলেও সে সিঙ্গেল রানেই আটকে আছে।
আর এটা মাথায় রেখেই ফিল্ডিং এড়িয়ে সিঙ্গেল রান নেওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি চাপিয়ে দিয়েছেন দলের উপরে। কিভাবে ফিল্ডারদের ফাঁকি দিয়ে সিঙ্গেল রান নেওয়া যাবে সেই অনুশীলন হচ্ছে মাঠে। তবে সেই অনুশীলনে সবচেয়ে আগ্রহী ও সফল সাব্বির রহমানকেই দেখা গেছে।
২০ ওভারের ক্রিকেটে ডট বল মানেই ব্যাটসম্যানদের আত্মঘাতী পথে হাঁটা। বেশি ডট খেলে ফেললে পরে তা পুষিয়ে নেওয়ার চাপে অনেক সময় ইনিংসটাই ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে। বলে বলে এক-দুই করে নিয়ে এগিয়ে নিতে হবে স্কোর। শেষ দিকে তাহলে আর বাউন্ডারি মারার চাপে ভুগতে হবে না।
কোচের এই মন্ত্র বুঝি সাব্বির রহমানের মস্তিষ্কেই সবচেয়ে ভালোভাবে গেঁথেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোর তার কিছুটা প্রমাণ দেয়। তৃতীয় ম্যাচে ৫০ রানের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি থাকলেও আগের দুই ম্যাচ মিলিয়ে তাঁর ব্যাট থেকে বাউন্ডারি এসেছে পাঁচটি ও ছক্কা চারটি। গত ম্যাচে তো ছক্কা ছিল না একটিও।
শুধু বাউন্ডারির জন্য অপেক্ষা না করে বলে বলে রান নেওয়ার চেষ্টটাকেই ব্যাট হাতে ধারাবাহিক থাকার সবচেয়ে বড় কারণ মনে করছেন এই ব্যাটসম্যান। একটি জাতীয় দৈনিকে সাব্বির বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে যদি আপনি প্রতি বলে এক-দুই করে নিয়ে খেলেন তাহলে নিজের ওপর যেমন চাপ কমবে, সঙ্গে থাকা
ব্যাটসম্যানেরও চাপ কমে যাবে। তাহলে পরে আর বাউন্ডারির চাপে পড়তে হয় না। নিয়মিত সিঙ্গেল না নিলে যখন বাউন্ডারি মারতে যাব, সেটা হতেও পারে না-ও হতে পারে।’
টি-টোয়েন্টি দিয়েই সাব্বিররের সবার নজরে আসা, টি-টোয়েন্টি দিয়েই জাতীয় দলে আসা। সাব্বির নিজেও এটাকেই মনে করেন তার জন্য আদর্শ খেলা। তবে তা ব্যাটিংয়ের ধরন আমূল বদলে নয়, ব্যাটিংটাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে। তিনি বলেন, ‘খেলতে হলে আমাকে নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে হবে। খেলা বদলালে হবে না। নিজের খেলাই খেলব সব সময়। সেটা করে কোনো দিন ফিফটিও পাব না, আবার কোনো দিন হয়তো সেঞ্চুরি করব।’
নিজের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরি না,দলের প্রয়োজন মেটানোই তার কাছে সবকিছুর আগে। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে দলের জয় বা পরাজয়ের চেয়ে ফিফটি, সেঞ্চুরি এগুলো বড় নয়। দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারাটাই সবচেয়ে বড়। ফিফটি বা সেঞ্চুরির বিনিময়ে যদি ঝুঁকি নিয়েও ম্যাচ জেতানোর চেষ্টা করতে হয়, আমি তাই করব। কারণ দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করাই আমার মূল কাজ।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানেবিস্তারিত পড়ুন
আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতেবিস্তারিত পড়ুন
খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
রাওয়ালপিণ্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে ব্যস্ত পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার শাহিনবিস্তারিত পড়ুন