ফিরলেন মুশফিকও!
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডকে ২৬৫ রানের বেঁধে ফেলেন বোলাররা। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে তখন ২০০৫ সালের সেই স্মৃতিই ফিরে আসার সম্ভাবনার উড়াউড়ি। আরেকটি কার্ডিফ রূপকথার স্বপ্নের জাল বোনা শুরু করেছিল বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ! কার্ডিফের ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে ২৬৬ রানের জয় লক্ষ্যটা কী আহামরি কিছু! আহামরি নয়, বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই তা হয়ে যায় পাহাড়সম। ১২ রানের মধ্যেই তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে বাংলাদেশ পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে! ২০০৫-এর সুখস্মৃতির বদলে কার্ডিফ তখনই যেন বেদনার এক নাম! এরপরও কী আশার সলতেটা জ্বলছিল? যদি জ্বলে থাকে, মুশফিকুর রহীমের আউটের মধ্য দিয়ে সে আশাও বুঝ নিভেই গেল।
ব্যক্তিগত ৪ রানেই ফিরে যেতে পারতেন মুশফিক। কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের বলে ওয়াইড স্লিপে ক্যাচটা নিতে পারেননি রস টেলর। কিন্তু পুনজীবন পেয়েছেও মুশফিক তা কাজে লাগাতে পারলেন না। বাংলাদেশের আশার সলতেটাকে আরও নিবু নিবু করে দিয়ে তিনি বরং ফিরে গেছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ড্রেসিরুমেই। প্রথম বল হাতে নিয়েই কার্ডিফের উইকেটে গতির ঝড় তুললেন অ্যাডাম মিলনে। সেই ঝড়ে ছত্রখান মুশফিকের মিডল স্টাম্প। মুশফিক ফিরে গেছেন ১৪ রান করে। ৩৩ রানেই বাংলাদেশের ৪ উইকেটের পতন। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৫৩ রান। সাকিব ১৪ ও মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছেন ৯ রানে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১২৮ রানের ইনিংস খেলার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন ৯৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। তামিম ইকবালই ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা। সেই ইনফর্ম তামিম আউট হয়ে যান ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই। টিম সাউদির বলে হয়ে যান এলবিডব্লুও। তামিমের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নেমেই ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন সাব্বির রহমান। নেমেই পরপর দুই দলে মারেন দুই বাউন্ডারি। এই চালিয়ে খেলার মাসুল তাকে দিতে হয়েছে সাউদির পরের ওভারেই। নিজের দ্বিতীয় এবং ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে সাব্বিরকে সাউদি বিদায় করেছেন উইকেটের পেছনে রনকির হাতে ক্যাচ বানিয়ে। নিজের তৃতীয় ওভারে সাউদি ফিরিয়ে দেন সৌম্যকেও।
এর আগে কার্ডিফের মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সেই সিদ্ধান্তে মাশরাফির খুশির হওয়ার কথা। কারণ, টসের পর মাশরাফি স্পষ্টই বলে দেন, টস জিতলে তিনিও প্রথমে বোলিংই নিতেন! উইলিয়ামসন মাশরাফির সেই চাওয়া পুরণ করলেও বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। মাশরাফি-মোস্তাফিজকে পিটিয়ে কিউই দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও লুক রনকি ৭ ওভারেই তুলে ফেলেন ৪৬ রান। তবে এরপরই বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম খেলতে নামা তাসকিন আহমদে। ফিরিয়ে দেন রনকি। একটু পর ৩৫ বলে ৩৩ রান করা গাপটিলকেও ফিরিয়ে দেন রুবেল হোসেন। বাংলাদেশ শিবিরে ফিরে স্বস্তি।
তবে এরপরও উইলিয়ামসন (৫৭)ও রস টেলরের (৬৩) জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৩০০ পেরোনো স্কোরের সম্ভাবনাই জাগিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এক পর্যায়ে ৪৩ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করে ফেলেছিল ২২৮ রান। মোসাদ্দেক ভেল্কিতে শেষ ৭ ওভারে তারা করতে পারে মাত্র ৩৭ রান, হারায় ৪ উইকেট।
অবশ্য নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত যা করেছে, সেটাই এখন বাংলাদেশের জন্য হিমালয়ের চেয়েও বেশি উচু! জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ২১৩ রান। হাতে উইকেট আছে মাত্র ৬টি। ওভার বাকি মাত্র ৩৫টি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন