ফিল্ডিং নেয়া ভুল হয়েছে, মানতে নারাজ মাশরাফি

আগে ব্যাটিং করলে হয়ত পরাজয়ের হতাশায় ডুবতে হতো না। তখন খেলার চালচিত্র অন্যরকম হতে পারতো।
এ আফসোস-অনুশোচনা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। হারের পর সবার মনেই কাঁটা বিধছে, আহা টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নামাই কাল হয়েছে। ইতিহাস বড় নির্মম। নিজ গতিতেই চলে।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের ৭০ রানে হারের কথাই শুধু লিখা থাকবে। ওই ম্যাচে কে কেমন করেছেন, তাই লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে; কিন্তু ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক ব্যাটিং না নিয়ে ফিল্ডিং করায় দলের বিপর্যয় ত্বরান্বিত হয়েছে- এমন কথা লিখা থাকবে না। সেটা রয়ে যাবে ভক্ত-সমর্থক ও নিরপেক্ষ ক্রিকেট অনুরাগির মনে।
আরোও পড়ুন: যে কারেণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ টাইগার মাশরাফি
ইতিহাসে লিখা না থাকলেও আজকে ম্যাচের চালচিত্রর পুঙ্খানুপুঙ্খু বিশ্লেষণ করলে টসের প্রসঙ্গ আসবেই। আসবে এই কারণে যে, ডাম্বুলার রণগিরি স্টেডিয়ামের পিচের সাথে আজকের উইকেটের আচরণ ও চরিত্রগত তফাৎ পরিষ্কার।
ওই দুই পিচ অনেক বেশি ব্যাটিং সহায়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যার আচরণে পরিবর্তন আসেনি। দুপুরে, বিকেলে ও রাতে- সব সময়ই একরকম; কিন্তু আজ কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের মাঠের চরিত্র এমন নয়।
এ পিচ শুরুর দেড় ঘন্টা ছিল শতভাগ ব্যাটিং বান্ধব। তারপর যত সময় গড়িয়েছে, ততই স্লথ হয়েছে। প্রথম ২০-২৫ ওভারের পর থেকে এই পিচে হাত খুলে খেলা তথা ফ্রি স্ট্রোক প্লে করা কঠিন ছিল।
যেহেতু সকালে প্রায় দুই ঘণ্টা উইকেট অনেক বেশি সহজ ছিল, বল ভাল গতি ও বাউন্সে উইকেটে এসেছে- তাই বাংলাদেশের ফ্রন্টলাইন বোলাররা ওই সময় লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখতে পারেননি।
তাই তো প্রথম ১০ ওভারে স্বাগতিকদের বোর্ডে জমা পড়লো বিনা উইকেটে ৭৬ রান। সেই পিচ শেষ ১৫-২০ ওভারে স্লো হয়েছে খানিকটা। বল দেরিতে ব্যাটে এসেছে। তেড়ে ফুড়ে তুলে মারা শট মিসটাইমড হয়েছে।
ব্যাটসম্যানের ধারণার চেয়ে দেরিতে আসায় আক্রমনাত্মক তথা তুলে মারা বিগ শটগুলো ঠিকমত টাইমিং হয়নি। উইকেট একটু স্লো হয়ে গেছে। একটু দেখে ধীরে খেলার চেষ্টা করেছে তারা। আগে উইকেটের গতি ও প্রকৃতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা। তারপর শটস খেলার চিন্তা। সঙ্গে রানের গতি বাড়ানোরও চেষ্টা করা যাবে।
এমন বোধ-অনুভব থাকলে হয়ত পরিস্থিতি এমন হতো না। দিন শেষে সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মাশরাফি। টস জিতে ফিল্ডিং করা নিয়ে তার কোনো আফসোস ও হতাশা নেই। তবে কথা বার্তায় বোঝা গেল সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের পিচ যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্লথ হতে থাকবে, তা ভাবেননি তিনি। তবে স্বীকার করেছেন, উইকেট এক সময় স্লো হয়ে গেছে।
তারপরও মাশরাফি মনে হয় না টস জিতে বোলিং বেছে নেয়াটাই ছিল বড় ভুল এবং ওই ভুলেরই খেসারত এই হার। এর স্বপক্ষে তার যুক্তি হলো, পিচে একটু আধটু ঘাস ছিল। সাথে বৃষ্টির কথাও মাথায় ছিল।
এছাড়া কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে লঙ্কান বোর্ড সভাপতি একাদশের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচেও তার মনে হয়েছে উইকেট একই থাকে। আচরণে পরিবর্তন আসে না। সাড়ে তিনশো রানও চেজ করা যায়। তাই ভেবেই আসলে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া। তার মনে হয় না, পরের সেশনে উইকেটের আচরণে কোন পরিবর্তন হয়েছে।
মাশরাফি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ যখন খেলেছি, তখনো দেখেছি কলম্বোয় দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট আরও ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আপনি মিরাজের ব্যাটিং, শেষ দিকে তাসকিনের ব্যাট চালনা যদি দেখেন, ওরা কিন্তু সারভাইভ করতে পেরেছে। এটা পরিস্কার উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন কিছুই ছিল না। ’
শুরুতে দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়া নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘শুরুতে দুই পাশে দুই নতুন বল সুইং করেছে। আর ওই সময় আমাদের দ্রুত তিন উইকেট পড়ে গেছে। আমার মনে হয়, সৌম্য-সাকিব যেভাবে ব্যাট করছিলেন সেটা যদি টেনে নেওয়া যেত, তার পরে যে আরও দুই ব্যাটসম্যান ছিলেন তারা যদি বড় ইনিংস খেলতো- তাহলে তারপরও এই ম্যাচ জিততে পারতাম। আপনি দেখেন শেষে ৩৬ বলে ৭০ রান দরকার ছিল। যদি উইকেট থাকতো তাহলে অবশ্যই এই অবস্থায় থাকতো না। ’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন