ফুটবল উৎসবের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম
ভদ্রলোকের আদি বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া। জন্ম কলকাতায়। আগেও অনেকবার পূর্বপুরুষদের জন্মভিটায় পা পড়েছে তাঁর। গতকাল আবার এলেন তিনি। নাম বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। কলকাতা ইস্টবেঙ্গলের কোচ। গোপালগঞ্জে শিকড়, এ রকমই আরেক সন্তানের নামে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে।
আগামীকাল থেকে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বসছে শেখ কামাল কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আসর।
চট্টগ্রামের ইতিহাসের প্রথম এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রায় সবারই পা পড়েছে কাল চট্টগ্রামে। সকালে ইস্টবেঙ্গল ও কলকাতা মোহামেডান চট্টগ্রামে এসেছে একই বিমানে চড়ে। একই সঙ্গে উঠেছে হোটেল পেনিনসুলায়। বিকেলেই অনুশীলনে নেমে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। অনুশীলন করার কথা ছিল কলকাতা মোহামেডানের, যদিও তারা তা বাতিল করেছে শেষ মুহূর্তে।
পুলিশ লাইন মাঠে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য পুরো দল নিয়ে কিছুক্ষণ ঘাম ঝরিয়েছেন। কলকাতা লিগের টানা ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি অবশ্য কিছুটা খর্বশক্তির। মূল দলের ১৩ জন ফুটবলার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলছেন। এই দলে অনূর্ধ্ব-২৩ বছর বয়সী ফুটবলারেরই আধিক্য। তবু শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, ‘এখানে যেসব খেলোয়াড় এসেছে তারা মূল টিমেও খেলে। আছে চারজন বিদেশি।
আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই এসেছি। তীর্থের কাকের মতো আমরা তাকিয়ে আছি শিরোপার দিকে।’ পূর্বপুরুষের দেশে এসে আবহাওয়া-ভাষা কোনোটিই তাঁর কাছে সমস্যা নয়। বেশ ফুরফুরেই লাগছে বিশ্বজিৎকে, ‘কোটালীপাড়ায় আমার পূর্বপুরুষ থাকত। অনেকবার এসেছি। আবহাওয়া আমাদের দেশের মতো। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
আগামীকাল শেখ কামাল কাপ ফুটবলের উদ্বোধনী দিনেই স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর মুখোমুখি কলকাতার ইস্ট বেঙ্গল। কাল চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে ইস্ট বেঙ্গল মগ্ন নিবিড় অনুশীলনে l জুয়েল শীলউদ্বোধনী দিনে ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হবে টুর্নামেন্ট আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর। এর আগে বিকেলে ঢাকা আবাহনী ও করাচি ইলেকট্রিসিটি এফসির ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে। পাকিস্তানের এই দলটিও ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছেছে বিকেলে।
একই সঙ্গে চট্টগ্রাম এসেছে শ্রীলঙ্কার সলিড এফসি। সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের স্পিন গর বাজানও বন্দর নগরীতে নোঙর করেছে। ঢাকা আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডানের চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা ছিল রাতে।
টুর্নামেন্ট নিয়ে প্রচার-প্রচারণা-হাঁকডাক ক্রমেই বাড়ছে। দর্শক টানতে চলছে নানা প্রচেষ্টা। নগরের বিভিন্ন স্থানে উঠে গেছে টুর্নামেন্টের বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ড। চলছে রোড শো, মাইকিং। বিকেলে রাজপথে হলো ‘পথ ফুটবল’। সবকিছুই প্রচারণার অংশ। এই টুর্নামেন্ট দেশে ফুটবলের নতুন জাগরণ ঘটাবে বলেই বিশ্বাস আয়োজকদের।
দর্শকখরায় ভুগতে থাকা ফুটবল আবার জেগে উঠবে, এই টুর্নামেন্ট দিয়ে এমন আশাবাদ সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের। ‘এই টুর্নামেন্টে দর্শক আসবে আমার বিশ্বাস। কারণ আমরা দর্শকদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লটারিসহ নানা ব্যবস্থা রেখেছি। আশা করি ফুটবল হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে’—বললেন টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন