ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শেষ করল রিভিউ কমিটি
গত ২০ জুলাই থেকে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি অভিযুক্ত বোলারদের ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল। দশজন বোলারের ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তারা। রোববার ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়ার কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
গত বুধবার অমিত কুমার নয়ন ও নাঈম ইসলাম জুনিয়রের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার মাধ্যমে ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির। অ্যাকশনে ত্রুটি থাকলে দ্বিতীয় ধাপে বোলারদের অ্যাকশন শুদ্ধিকরণের কাজ করবে এ কমিটি বলে জানিয়েছেন বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির প্রধান।
এ প্রসঙ্গে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, ‘দশ জনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের ভিডিওগুলো আমরা পর্যালোচনা করা হবে। আমাদের যারা টেকনিক্যাল লোকজন আছেন তারা ফুটেজগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন। তারপর চিহ্নিত করা হবে কার কোথায় সমস্যা আছে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১১জন বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এদের মধ্যে ১০ জন এই পরীক্ষায় অংশ নেন। বুধবার বোলারদের প্রাথমিকভাবে এ ফুটেজ সংগ্রহ শেষ হওয়ার পর রিভিউ কমিটি সিলিকন সফটওয়্যারের সহায়তায় তাদের বোলিং অ্যাকশন মূল্যায়ন করবে।
বিশেষ করে খালি চোখে বোলারদের সমস্যগুলো এই মুহূর্তে চিহ্নিত করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন জালাল ইউনুস বলেন, ‘খালি চোখে বলা মুশকিল। আমাদের কয়েকজন মেম্বার আছে যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, খালি চোখে তাদের চাকার মনে হয়নি। ফুটেজ দেখার পর খালি চোখে দেখার বিষয়টি পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এখনোই আসলে কমেন্ট করা উচিত হবে না।’
অভিযুক্ত বোলারদের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার সময় অনেকের বোলিং অতোটা সন্দেহজনক বলে মনে হয়নি জালাল ইউনুসের। যারা এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ তাদের শরণাপন্ন হলেও বোঝা যাবে অভিযুক্ত বোলারদের বিষয়টি। তাই এখন বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি ভিডিও ফুটেজগুলো নিয়ে কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আগে আমরা অভিযুক্ত বোলারদের ভিডিও ফুটেজগুলো ভালোভাবে দেখি। তারপর এসব ফুটেজগুলো নিয়ে আমরা এই কয়েকদিন কাজ করবো। এরপর যাদের সমস্যা পাবো না তাদের আমরা জানিয়ে দেব। তাতে করে এরা পরের বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে। আর যাদের সমস্যা থাকবে তাদের নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আরো কাজ করবো।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অভিযুক্ত বোলারদের ফুটেজগুলো ধারণ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি সিলিকট সফটওয়্যারের টুডি ক্যামেরার মাধ্যমে।
এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেন, ‘দুটি সিলিকট সফটওয়্যারের টুডি ক্যামেরার ম্যাধ্যমে করা অভিযুক্ত বোলারদের ভিডিও ফুটেজগুলো ধারণ করা হয়েছে। ওখানে কাজ করার পর আমরা বুঝতে পারবো। কার ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকে। যদিও আমরা এরইমধ্যে কিছু দেখা হয়েছে। তবে সবগুলো এক সঙ্গে দেখার পর অভিযুক্ত বোলারদের ব্যাপারে পর্যালোচনা করবো।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন