ফুল বিক্রি থেকে তাঁদের ভালোবাসার গল্প
চার্লি চ্যাপলিনের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘কালার ফুল’। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন শাহীন স্বাধীন। নাটকটি প্রচার হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে দেশ টিভিতে। এতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো ও অভিনেত্রী সানজীদা প্রীতি।
নাটকটির গল্পে দর্শক দেখবেন, এই ঢাকা শহরে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে ময়না নামের একটা মেয়ে রাস্তার ধারে ফুল বিক্রি করে। ময়নার জীবনে আছে কেবল বৃদ্ধা দাদি। একদিন ফারুক মানিকের দেওয়া কিছু জিনিস দিয়ে একটা ঠিকানায় পৌঁছে দিতে যায়। ফুটপাথে হাঁটার সময় মানিকের সাথে ময়নার ধাক্কা লাগে। মানিক প্রথমে ভেবেছে মেয়েটা ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়েছে। একটু পরে খেয়াল করে দেখে মেয়েটা পড়ে যাওয়া ফুল হাত দিয়ে খুঁজছে মেয়েটি অন্ধ।
মানিক ফুল তুলে দিয়ে ময়নার কাছ থেকে কিছু ফুল নিয়ে একশ টাকার একটা নোট দেয়, ময়না বাকি টাকা দেওয়ার জন্যে হাত বাড়ায় এই সময় ময়নার কানে শব্দ আসে দাঁড়িয়ে থাকা একটা গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে যাওয়ার। ময়না মুচকি হেসে হাত গুটিয়ে নেয়। মানিক ভাবে মেয়েটা নিশ্চয় তাঁকে বড়লোক মনে করছে, তাই মানিক নিঃশ্বব্দে বাকি টাকা না নিয়ে ময়নার কাছ থেকে চলে যায়।
এরপর থেকে মানিক প্রতিদিন সকালে কারখানা থেকে ছুটি পাওয়া মাত্রই দৌড়ে ময়নার নিকটবর্তী হয়ে একটা ট্যাক্সিক্যাব ভাড়া করে। ময়নার কাছে এসে জোরে দরজার খুলে, ময়নার কাছ থেকে সব ফুল কিনে নেয় আবার যাওয়ার সময় জোরে দরজা লাগায় যাতে ময়না মনে করে মানিক বড়লোক গাড়ি নিয়ে ফুল কিনতে আসে। কিছুদূর গিয়ে মানিক ট্যাক্সিক্যাব ছেড়ে দিয়ে বাকীটা পথ হেঁটে যায়। সস্তা হোটেলে খায়। মেসে গিয়ে ফুলগুলো যত্ন করে সাজিয়ে রাখে। মাঝে মাঝে দুজনের মধ্যে অল্প অল্প কথা হয়। এভাবেই কিছুদিন চলতে থাকে।
এর কিছু দিন পর একদিন মানিক এসে দেখতে পায় ময়না মেয়েটি নাই, ময়নার জায়গায় আজ এক বৃদ্ধা মহিলা। মানিক বৃদ্ধা মহিলার কাছে জানতে চায় এখানে প্রতিদিন যে মেয়েটা ফুল বিক্রি তাঁকে চেনে কিনা। বৃদ্ধা জানায় মেয়েটি তার নাতনি, হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়াতে সে এসেছে ফুল বিক্রি করতে। প্রতিদিনের ফুল বিক্রির টাকা দিয়ে দুজনের সংসার চলে। মানিক বৃদ্ধার সাথে একটা জরাজীর্ণ বাসায় আসে। ময়না দাদির কাছে শুনে প্রতিদিন যে লোকটা সব ফুল কিনে নেয় সে ব্যক্তি তাঁকে না পেয়ে অসুস্থতার খবর শুনে বাসা চলে এসেছে ময়নাকে দেখতে। ময়না এতে রাগ করে মানিককে জানায় আপনি কেন এসেছেন, আপনি যে এখানে এসেছেন কেউ কিছু মনে করতে পারে। ধন্যবাদ দিয়ে চলে যেতে বলে।
পরের দিন মানিক দৌড়ে আসে ময়নাকে লুকিয়ে দেখতে। জানালা দিয়ে লুকিয়ে দেখতে যাবে ঠিক সেসময় ময়না জানালা দিয়ে ময়লা পানি ছুঁড়ে মারে, মানিক ময়লা পানি দিয়ে ভিজে যায়। দাদি থেকে ফুল কিনতে গিয়ে মানিক ময়না সম্পর্কে জানতে পারে ময়না জম্মগত অন্ধ না। চিকিৎসার অভাবে চোখে ছানি পড়ে এখন আর দেখতে পায় না। ডাক্তার বলেছে ত্রিশ হাজার টাকা লাগবে অপারেশন করাতে। মানিক ফারুকের কাছে গিয়ে তার গচ্ছিত টাকা চায়। ফারুক বলে দিবে তার আগে তার ছোট্র একটা কাজ করে দিতে হবে। কারণ এই মুহুর্ত্বে তার হাতে কোন টাকা নাই। মানিক কাজটা করে দিয়ে টাকা নিয়ে দাদির কাছে দেয় যেন ময়নার চিকিৎসা করে ময়না যেন আবার এই সুন্দর পৃথিবী দেখে। পরের দিন কারখানা গেলে মাল চুরির দায়ে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
পাঁচ বছর জেল শেষে মানিক বের হয়ে এসে রাস্তার ধারে ফুল বিক্রি করতে আসে। ময়নারা আগে যেখানে ছিল সেখানে আর নাই এখন সেই জায়গা বড় দোকান হয়েছে। মানিক দোকানের দিকে তাকিয়ে দেখে সাইনবোর্ডে লিখা মানিক পুষ্প বিতান। মানিকের চোখে পানি এসে যায়। ময়না মুছে দিয়ে বলে আমি সবাইকে সব সময় ফুল দিয়ে এসেছে কেউ আমাকে দেয়নি আপনি আমাকে একটা ফুল দিবেন। মানিক ময়নার সামনে একটা ফুল ধরে বলে আমাকে বিয়ে করবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন