ফেরিওয়ালার নাম ভাঙিয়ে লাখ লাখ টাকার লেনদেন!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ার বাসিন্দা তাপস গুহ। পেশায় ফেরিওয়ালা।
ধূপকাঠি ফেরি করে কোনও রকমে দিন কাটে। মাসিক আয় বড় জোর তিন থেকে চার হাজার টাকা। সম্প্রতি হঠাৎ আয়কর দফতরের নোটিস পেয়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্টেই ৫৫ লাখের বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে! আনন্দবাজার এই খবর প্রকাশ করেছে।
ওই ব্যাঙ্কে তার নামে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেটি থেকে ওই পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর পরেই তাপস গুহ ব্যাঙ্কটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তার অভিযোগ, তারই নথি ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন হয়েছে ওই ব্যাঙ্কে।
তাপস গুহ বলেন, ২০১১-র নভেম্বরে ব্যাঙ্কটির সাঁইথিয়া শাখার কিছু কর্মী তার কাছে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুরোধ নিয়ে এসেছিলেন। তিনি ছবি-সহ প্রয়োজনীয় নথি ওই কর্মীকে দেন। তিনি নিজের মোবাইলে নথির ছবি তোলেন। তার পরেই ওই কর্মী আমাকে জানান, অ্যাকাউন্টে সব সময় ৫,২০০ টাকা থাকতে হবে। এটা শুনে আর অ্যাকাউন্ট খোলেননি।
গত ২০ জুন আসে আয়করের নোটিস। তাতে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের বড় মাপের আর্থিক লেনদেনের কথা উল্লেখ করে ২০১২-’১৩ সালের রিটার্ন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয় তাপসকে। বুঝতে না পেরে প্রথমে নোটিসটিকে গুরুত্ব দেননি। আবারও নোটিস আসে অক্টোবরে। গত ৫ ডিসেম্বর আবার নোটিস পেয়ে বুঝতে পারেন, বড়সড় গণ্ডগোল হয়েছে। নোটিস থেকে জানা যায়, তার নামে থাকা ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষে ৫৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। এমনকী, হাজিরা না দেয়ায় আয়কর দফতর ইতিমধ্যেই তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে।
তাপসের বক্তব্য, ওই অ্যাকাউন্ট আমার নয়। আমার নথি ব্যবহার করে জালিয়াতি হয়েছে। আমি কেন আয়কর দফতরকে টাকা দেব? লাখ লাখ টাকা চোখে দেখা দূরের কথা, তা পাওয়ার স্বপ্নও দেখি না। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা, ভাই-বোন। কোনও ভাবে সংসার চলে। এখন কোর্ট-কাছারির খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।
তাপসের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধায়ের দাবি, কারও সঙ্গে যোগসাজশ করে ওই ব্যাঙ্কের কেউ আমার মক্কেলের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে লাখ লাখ টাকা বেআইনি লেনদেনের সুযোগ করে দিয়েছে। অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়েছে।
আয়কর দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, নোট বাতিলের পরে এমন ঘটনা তাদের সামনে অনেক এসেছে। গরিব মানুষের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে অনেকে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, এটি তার আগের ঘটনা। তবু যেহেতু একটি অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছে, তাই নিয়মমাফিকই রিটার্ন দাখিল করার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
প্রকাশ্যে জানালেনঃ দুই পরিচালকের সঙ্গে ‘প্রেম’ ছিল পায়েলের
টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বনামধন্য দুজন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও আবিরবিস্তারিত পড়ুন
প্রথম ‘সন্তানের’ জন্মলগ্নে কেঁদেছিলেন দেব ! দায়িত্ব অনেকটাই একা সামলাচ্ছেন তিনি
শিরোনাম পড়ে ভাবছেন, নায়ক দেব তো বিয়েই করেননি, তাহলে সন্তানবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত বাবা রাম রহিমের আয় কত, অনেকেই জানেনা?
ভারতের বিতর্কীত ধর্মগুরু বাবা রাম রহিমের পঞ্জাব, হরিয়ানায় স্থাবর সম্পত্তিরবিস্তারিত পড়ুন