যাত্রীবাহী বাসের ভেতর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত লম্পট বাসচালককে। ময়মনসিংহের নান্দাইলে মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন বাসচালককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বুধবার ওই কিশোরী বাদী হয়ে বাসচালক ও তাঁর সহাকারীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে নরসিংদী যাওয়ার জন্য ওই কিশোরী ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ময়মনসিংহ থেকে নান্দাইলগামী একটি বাস সেখানে দাঁড়ায়। বাসের চালক, তাঁর সহযোগী ও সুপারভাইজার নরসিংদী যাবে বলে ওই কিশোরীকে বাসে উঠায়। কিন্তু নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায় যাওয়ার পর কিশোরীকে জানানো হয় বাসটি নরসিংদী যাবে না। ওই কিশোরীকে অপেক্ষা করতে বলে তাঁরা তিনজন বাস থেকে বেরিয়ে যান। অন্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে এসে তাঁরা বাসের দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর সুপারভাইজার ও চালকের সহযোগীর সহযোগিতায় চালক তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে চালককে আটক করলেও অন্য দুজন জানালা দিয়ে পালিয়ে যান।

নান্দাইল থানা-পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চালককে আলমগীর হোসেনকে থানায় নিয়ে আসে। ওই কিশোরী আজ সকালে বাদী হয়ে চালক, চালকের সহযোগী মোশাররফ ও সুপারভাইজার জালালের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, বুধবার চালককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।