ফের শারীরিক ‘লাঞ্চনার শিকার’ নারী ফুটবলার কলসিন্দুরের তাসলিমার পরিবার !


এএফসি দলের বাছাইপর্বের প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন তারা। অথচ দুই দিনের ব্যবধানেই চরম লাঞ্ছনার শিকার হন দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা সোনার মেয়েরা।
গত বুধবার ঢাকা থেকে ধোবাউড়াগামী লোকাল বাস নিলয় পরিবহণ নামের একটি লোকাল বাসে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে ইতিহাস সৃষ্টিকারী সোনালী মেয়েদের বাড়ি ফিরতে হয়। বাসটি থেমে যাত্রী তুলছে রাস্তায়। যাত্রা পথে বিভিন্ন স্থানে কটূক্তি আর অশ্লীল বাক্য শ্রবণ করতে হয় তাঁদের। কয়েকজন এসে প্রচণ্ড খারাপ ভাষায় কথা বলে। কয়েজকজন পাশে দাঁড়ালেও তাদেরও শুনতে হয় বাজে কথা।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ”সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের উদাসীনতাকে” দায়ী করে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় কাটতে না কাটতেই ঘটে গেলো আরো একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়াকে (৪০) মারধর করেছেন কলসিন্দুর হাই স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা। বুধবার রাতে জেলার ধোবাউড়ার কলসিন্দুর বাজারের মহিলা মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে তাসলিমার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন।
তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার বিকেলে কলসিন্দুর হাই স্কুলের শরীর চর্চা শিক্ষক জুবেদ তালুকদার অনূর্ধ-১৬ নারী ফুটবল জাতীয় দলের ৯ খেলোয়াড় এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে সভা করেন। সভায় জুবেদ তালুকদার ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে নিষেধ করেন এবং স্কুল টিমের হয়ে খেলতে বলেন।


উপস্থিত অভিভাবক ও খেলোয়াড়রা তার এই কথার বিপরীতে কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন জুবেদ। এ নিয়ে বিবাদ হয়। এরপরে রাত ৯টায় কলসিন্দুর বাজারে মহিলা মার্কেটে জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা তাসলিমার বাবা সবুজকে কিল ঘুষি মারেন এবং লাঠিপেটা করেন। ওই সময় তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান সবুজ মিয়া।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাছ উদ্দিন ভু্ষ্ণা সাংবাদিকদের বলেন, ধোবাউড়া থানার ওসিকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলম জানান, এসআই মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে অভিযুক্তদের কাউকেই সেখানে পাওয়া যায়নি।
এর আগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরম দুর্ভোগ এবং ভোগান্তির শিকার হয় কলসিন্দুরেরর নারী ফুটবলাররা। লোকাল বাসে করে ময়মনসিংহ যেতে হয় তাদের। পথে কয়েকজন যাত্রীর কটূক্তির পাশাপাশি শোনতে হয়েছে অশ্লিল ভাষায় গালাগালাজও। এতে হতভাগ ক্ষুব্ধ মারিয়া ও সানজিদারা।
ঢাকা থেকে ধোবাউরাগামী বাস। থেমে থেমে উঠানো হচ্ছে যাত্রী। আর এই লোকাল বাসেই কিনা বাড়ি ফিরছেন ইতিহাস গড়া বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৬ দলের কলসিন্দুরের নারী ফুটবলাররা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ


‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন


৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন


নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন













