ফের হতাশা নিয়ে ফিরলেন ইমরুল
ইমরুল কায়েস আর তামিম ইকবালের ব্যাটে ছিল অনেক বড় কিছুর আশা। স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তারা। ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি ১৭০ রানের। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেন অপি করেছিলেন সেই জুটি। ওটা কেউ ভাংতে পারেন নি। তামিম ও ইমরুল সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সামান্য ভুলে ইমরুল অনেক কিছুর সম্ভাবনাই নষ্ট করলেন। আগের ম্যাচে ৭৬ রানে আউট হওয়ার পর এবার ৭৩ রানে আউট ইমরুল। ১৪৭ রানে ভাংলো বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। এই রিপোর্ট লেখার সময় ৩১ ওভারে ১ উইকেটে ১৫৫ রান বাংলাদেশের। তামিমের সাথে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তামিমের রান ৭০, মুশফিকের ৫।
রানের বিচারে বাংলাদেশের ১৩তম সর্বোচ্চ জুটিটা হলো তামিম ও ইমরুলের। এই দুজনার সেরা জুটি। আগের ম্যাচের পর ইমরুল বলেছিলেন, আবার সেদিনকার মতো খেললে সেঞ্চুরি করেই ফিরবেন। কিন্তু সিকান্দার রাজার বলকে উইকেটে নেমে গিয়ে খেলতে গিয়ে আর ফিরতে পারলেন না। স্টাম্পিংয়ের শিকার হলেন। ৯৫ বলে ৬টি চার ও চারটি ছক্কায় চমৎকার এক ইনিংস খেলে ফিরেছেন।
কিন্তু ইমরুলের সাথে কি ফেরেনি একরাশ হতাশা! শুরু থেকেই চমৎকার খেলেছেন। মনে হচ্ছিল আগের ম্যাচে যেখানে ছেড়েছিলেন সেখান থেকেই আবার শুরু করেছেন। জিম্বাবুয়ের বোলাররা তার কাছ থেকে খুব সমীহ পাচ্ছিল না। দাপটের সাথেই খেলেছেন। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও তার কাছে যেতে না পারার কষ্ট নিশ্চয়ই পোড়াবে ইমরুলকে।
শুরুর দিকেই পানিয়াঙ্গারাকে ছক্কা মেরেছেন ইমরুল। তারপর সর্বোচ্চ শট খেলেছেন আরো দুটি। ৭৬ বলে ৫০ করেছেন তিনি। ব্যাক টু ব্যক ফিফটি তার। ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি। আর এই ফিফটি করতে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন ইমরুল। অন্য ছক্কা দুটি মেরেছেন মুজারাবানি ও অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরাকে। এরপর আরেকটি ছক্কা মেরেছেন ফিফটির পর।
তামিম ৭০ বলে ৫০ করেছেন। চমৎকার ব্যাট করছেন। তার ব্যাটে বড় কিছু করার ইঙ্গিত। শুরুটা ছিল অনেক সতর্ক। এরপর একটু একটু করে নিজেকে উন্মুক্ত করেছেন। বাউন্ডারি মেরেছেন অনেক বুঝে শুনে। ফিফটিতে তার ৫টি বাউন্ডারি। এটি তার ৩২তম ফিফটি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চলছে তৃতীয় ওয়ানডের খেলা। টস জিতেছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও আগে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছেন মাশরাফিরা। এই ম্যাচ জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার টার্গেট তাদের।
প্রথম ম্যাচ ১৪৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিব এরপর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তাকে ছাড়াই দ্বিতীয় ওয়ানডে ৫৮ রানে জেতে বাংলাদেশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন