ফেসবুকের সেফটি চেকের ব্যবহার

আমি নিরাপদে আছি, আপনি আছেন তো? সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গতকাল বুধবার থেকে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে চলছে ‘সেফটি চেক’ নামের একটি টুলের ব্যবহার।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বুধবার রাতে ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশ সময় রাত ৭টা ৫৫ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে ভূকম্পনটি আঘাত হানে। উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার ছাড়াও ভারত ও চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ সময় আতঙ্কিত মানুষ ভবন ছেড়ে রাস্তায় খোলা স্থানে চলে আসে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৯। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো থেকে ৩৯৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৩৪ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক তার সেফটি চেক ফিচারটি চালু করে। এই ফিচারটি ব্যবহার করে নিজেকে বা বন্ধুকে ‘সেফ’ বা নিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন ফেসবুক ব্যবহারকারী। গতকাল রাতে ফিচারটি চালুর পর থেকে অনেকেই ফিচারটি ব্যবহার করেছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি সংকটের সময় মানুষ ফেসবুকে তাঁর প্রিয়জন কে কোথায় আছেন বা কেমন আছেন, খোঁজখবর করেন। এ সময় দুর্গত এলাকার মানুষ বা প্রিয়জনের অপেক্ষায় থাকা উদ্বিগ্ন স্বজনদের মধ্যে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এ পরিস্থিতিতে সহজে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় টুল বা সহজ যোগাযোগ পদ্ধতি এ সেফটি চেক।
ফেসবুকের কর্মকর্তাদের মতে, সেফটি চেক টুলটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পরিবার-পরিজনদের কাছে নিরাপদে থাকার তথ্যটি জানিয়ে দিতে পারবে। অন্যান্য দুর্গত এলাকার তথ্য জানার পাশাপাশি বন্ধু নিরাপদে আছে কি না, তা-ও জানা যাবে।
২০১১ সালে ভূমিকম্প ও সুনামিতে জাপানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই সংকটের সময়ই মানুষ কীভাবে প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে, পরস্পরের খোঁজখবর রাখে, সে অভিজ্ঞতা হয়েছে। ফেসবুক কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ফেসবুকের জাপানি প্রকৌশলীরাই বিপদের সময় কাজে লাগে এ ধরনের টুল তৈরিতে প্রথম পদক্ষেপ নেন। তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের জন্য ‘ডিজাস্টার মেসেজ বোর্ড’ তৈরি করেন এবং পরের বছর পরীক্ষামূলকভাবে একটি টুল চালুর পর তাতে অভূতপূর্ব সাড়া দেখা যায়।
এই টুলটি কীভাবে কাজ করবে?
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর ওই এলাকায় অবস্থানকালে এই টুলটি সক্রিয় হলে একটি ফেসবুক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিরাপদ আছেন কি না, তা জানতে চাওয়া হবে। ব্যবহারকারী কোন স্থানে রয়েছেন, সেটা প্রোফাইলে দেওয়া তথ্য, লোকেশন ফিচার বা ইন্টারনেট ব্যবহারের স্থান অনুমান করে ফেসবুক নির্ধারণ করে দেবে। যদি ফেসবুকের অনুমান ঠিক না হয়, তবে দুর্গত এলাকার বাইরে থাকার বিষয়টিও চিহ্নিত করে দেওয়া যাবে। নিরাপদ থাকলে ‘আই অ্যাম সেফ’ নির্ধারণ করে দিলে তা একটি নোটিফিকেশন ও নিউজ ফিড স্টোরি হিসেবে দেখাবে। ফেসবুকের বন্ধুরাও নিরাপদ থাকার বিষয়টিও নির্ধারণ করতে পারবেন। দুর্গত এলাকায় থাকা বন্ধুরা যদি সেফটি চেক চালু করে নোটিফিকেশন ক্লিক করেন, তবে তাঁর বন্ধুরা সে তথ্য জানতে পারবেন।
ফেসবুকের কর্মকর্তারা বলেন, আপনি এমন কোনো অবস্থায় পড়ে যদি সেফটি চেক চালু করেন, তখন আপনার স্বজনেরা আপনি নিরাপদ আছেন এটুকু জেনেই স্বস্তিতে থাকবেন বলে আমরা আশা করি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন

মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন

স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন