ফেসবুকে ইভানের সঙ্গে পরিচয় ‘ধর্ষিত’ সেই তরুণীর
রাজধানীর অভিজাত এলাকা বানানীতে আবারো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই তরুণীর অভিযোগ তাকে বাসায় জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীর ছেলে বাহাউদ্দিন ইভান ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে বনানী থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেছেন ওই তরুণী। ঘটনার পর থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ইভানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
ওই তরুণী মামলার এজাহারে বলেন, বিবাদী বাহাউদ্দিন ইভানের সঙ্গে আমার ১১ মাস ধরে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। এ বন্ধুত্বের সূত্র ধরে দুজনের ঘোরাঘুরি ও দেখা সাক্ষাৎ হতো। এ বন্ধুত্বের থেকেই চার মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ৪ জুলাই আমাকে ইভান রাত ৯টার দিকে ফোনে জানান যে আজ তার জন্মদিন। জন্মদিনে আমাকে তার বাসায় যেতে বলেন। তিনি জানান, এই সূত্রে তিনি আমাকে তার মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন এবং আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি তার মাকে জানাবে। টেলিফোনে তার মায়ের পরিচয়ে এক নারীর সঙ্গে আমাকে কথা বলিয়ে দেন।
তরুণী বলেন, এরপর আমি আমার আপুর সঙ্গে কথা বলে উক্ত তারিখে একটি রিকশাযোগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাসার সামনে পৌঁছালে ইভান আমাকে রিসিভ করে তার বাসায় নিয়ে যান। আমি বাসায় যাওয়ার পর কাউকে দেখতে পাইনি। সে আমাকে তার রুমে নিয়ে যায়। মায়ের কথা জিজ্ঞেস করলে বলে বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ, ঘুমিয়ে আছেন। জোরে কথা বলা যাবে না।
ওই তরুণী বলেন, বাসায় জন্মদিনের কোনো আলামত দেখতে পাইনি। এতে আমি ভয় পাই এবং বাসায় ফিরে যেতে চাই। কিন্তু সে বাসায় আসতে দেয় না। সে আমাকে রাতের খাবার খাওয়ায় এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য এতে দিয়ে দেয়। আমি তাকে নিষেধ করলে সে একদিন খেলে কিছু হবে না বলে জানায়। রাত দেড়টার দিকে সে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার চেচামেচি করতে থাকলে সে রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমার ব্যাগ রেখে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ওই ব্যাগের মধ্যে আমার তিনটি ড্রেস, দুইটি জিন্স, একটি কুর্তা, তিনটি মোবাইল, চার্জার, সিম কার্ড, মেমোরি কার্ড নগদ ১৫০০ টাকা ছিল। তারপর আমি পথচারী এক ভদ্রলোকের সহায়তায় থানায় আসি।
এজাহারে তরুণী উল্লেখ করেন ইতিপূর্বেও বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করেন ইভান। তিনি বলেন, ‘আসামি আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাত, আমি মুখ খুললে সে তার কাছে আছে এমন খারাপ ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়িয়া দেবে বলে হুমকি দিতো।’
বুধবার বনানী থানায় ধর্ষণ মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলা নম্বর ৮। মামলাটি তদন্ত করছেন উপপপরিদর্শক সুলতানা আক্তার। জানতে চাইলে সুলতানা আক্তার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওই ভিকটিম এখন তেজগাঁওয়ের নারী ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছেন। আজকে তাকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাকে কোনো নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল কি না বা কোনো শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে কি না সে ব্যাপারে পরীক্ষা হবে।’
এ ব্যাপারে বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামি ইভানকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন