খের আদল থেকে পছন্দের রঙ মানুষ চিনিতে এসব পথ কম তো হাঁটা হল না। কিন্তু সব কিছুই বড্ড ছাড়াছাড়া। যেটা ভাবছি সেটা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কিন্তু এবার রয়েছে নিশ্চয়তা। আমি না বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মনোবিদদের মতে সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে সহজেই চেনা যায় মানুষ। কি করে, জেনে নিন।

স্বপ্নের মানুষ ‘তুমি’ থাক প্রোফাইলে:

অনেকের প্রোফাইলে সেলিব্রিটির ছবি দিয়ে থাকেন। মনোবিদরা বলছেন এরা বাস্তববাদী নন। অন্যদের আদর্শ মনে করেন ও সাধাfaরণত জীবনে সফল হতে পারেন না। এরা অন্যের কথায় চলেন। নিজেদের ব্যাপারে কথা বলতেও সঙ্কোচ বোধ করেন।

নানা রূপে নানা রঙে বারে বারে:

অনেকে আছে যারা ঘন ঘন প্রোফাইলের ছবি বদলায়। যাদের মধ্যে এইধরনের প্রবণতা দেখা দেয়, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা ভোগেন। এরা রহস্যজনক, সব সময় অসন্তুষ্ট এবং অন্যকে সহজে বিশ্বাস করেন। কারও কারও মধ্যে স্প্লিট পারসোনালিটির সমস্যাও দেখা যায়।

নজর কাড়তে নজিরবিহীন:

অনেকে প্রোফাইলে অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করেন। এরা সব সময় নজর কাড়তে, গুরুত্ব পেতে চান। হীনমন্যতায় ভোগেন। সে কারণে নিজেদের বেশি প্রকাশ করে ফেলেন। এদের ছবি আত্মসম্মানের অভাব ও অপরিণত মনের পরিচয় দেয়। সম্পর্কে এরা বিশ্বাস রাখতে পারেন না। যারা জীবনে কোনও সময় সম্পর্কের সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছেন তারা সাধারণত এমন ছবি দিয়ে থাকেন।

ঘন ঘন পাল্টে যায় কথা:

fbঘন ঘন স্টেটাস মেসেজ বদল। যারা এমনটা করেন তারা বেশির ভাগ সময়ই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের কথা লিখে থাকেন। যা তাদের হীনমন্যতায় ভোগার পরিচয় দেয়। অনেক সময় কম বিচার-বুদ্ধির মানুষরাও এমনটা করে থাকেন। সিদ্ধান্তে অচল থাকতে পারেন না এরা। কথা বেশি বলে কম কাজ করেই কাটাতেন চান এরা।

মনের ভাষায় যখন কালির দাগ:

কিছু মানুষ অনেক সময় স্টেটাস মেসেজে কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরা জীবনে অনেক ব্যর্থতা ও সমালোচনার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। পজিটিভ অ্যাটিটিউডের অভাবে এরা হতাশায় ভোগেন। অনেক সময় যারা ভাল কথাবার্তা বলতে পারেন না, গুরুত্ব পান না, তারা অতিরিক্ত কটূ শব্দ ব্যবহার করে গুরুত্ব পেতে চান। জীবনে ব্যর্থতা, হতাশা উগরে দিতে এরা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে থাকেন।

শ্রীমান-শ্রীমতই ভয়ঙ্করী:

অনেকে প্রোফাইলে ভয়াবহ ছবি দিয়ে থাকেন। এরা খুবই জটিল ও রহস্যজনক হন। এদের বুঝে ওঠা কঠিন। এরা নিজেদের ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলতে চান না। নিজেরাই নিজেদের সমস্যা মিটিয়ে নিতে চান। এদের জীবনে সব কিছু ঠিক থাকলেও এরা মনে করেন কিছু ঠিক নেই। এরা নিজেদের চেহারা নিয়েও সচেতন।