ফ্রিজের খাবার খেয়ে ঘুম দিল চোর
কনকনে ঠান্ডা শীতের রাত। বাড়িতে কোনো মানুষজন নেই। খাটের ওপর পাতা নরম বিছানা এবং ফ্রিজে ঠাসা খাবার-দাবার। চুরি করতে এসে ঘরের মধ্যে এমন পরিবেশ পেয়ে চোর দিব্যি ফ্রিজে রাখা খাবার খেয়ে নরম বিছানায় কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। ভোরবেলা গৃহকর্তা বাড়ি ফিরে ঘরের মধ্যে বিছানায় চোরকে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোতে দেখে তো রীতিমতো আঁতকে উঠলেন। ভয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দিতেই কুয়াশা ঢাকা ভোরে তড়িঘড়ি বিছানা ছেড়ে চোরটি দে চম্পট।
উল্লিখিত মজার এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আরামবাগ শহরে। সেখানকার সতীতলা এলাকায় বসবাস করেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী দুর্গা সরকার। পাকা দোতলা বাড়ি তাঁর। ছেলে ও বৌমা কর্মসূত্রে কলকাতায় চাকরি করার সুবাধে সেখানেই থাকেন। এই বাড়িতে একাই থাকেন দুর্গাবাবু। মাস দেড়েক আগে বাড়িতে তালা মেরে দুর্গাবাবু চলে চান কলকাতায় তাঁর ছেলে ও বৌমার কাছে। বাড়ি দেখাশোনার জন্য রেখে যান তাঁদের এক আত্মীয় পুষ্পদেবীকে। পুষ্পদেবী রোজ সকালে এসে বাড়িটি দেখভাল করেন। সন্ধ্যায় বাড়ি তালা মেরে যান নিজের বাড়িতে। এভাবেই চলছিল। কিন্তু গোলমাল বাধে শুক্রবার রাতে।
আর ৫টা দিনের মতোই শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘরদোর পরিষ্কার করে তালা মেরে নিজ বাড়িতে ফিরে যান পুষ্প দেবী। রাতটা নিজের বাড়িতে কাটিয়ে শনিবার ভোরে তিনি দুর্গাবাবুর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে পুষ্পদেবী দেখেন, বাড়ির ফটকসহ কয়েকটি দরজার তালা ভাঙা। দেখেই ভ্রু কুঁচকে ওঠে পুষ্পদেবীর। দুরু দুরু বুকে তিনি একতলার ঘরের সামনে গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে ভেজানো রয়েছে। আস্তে করে দরজা ঠেলে ঘরের ভেতরে ঢুকতেই তো পুষ্পদেবীর চক্ষু চড়কগাছ। তিনি দেখতে পান, ঘরের মধ্যে আলমারি খোলা, ঘরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ফ্রিজের যাবতীয় খাবার দাবার। লণ্ডভণ্ড চারদিক। এরপর খাটের ওপর চোখ পড়তেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার দশা হয় পুষ্পদেবীর। দেখতে পান, খাটের ওপর কম্বল মুড়ি দিয়ে কে যেন ঘুমাচ্ছে। অবার, নাকও ডাকছে মহা আরামে।
পুষ্পদেবী সাহস করে কাছে গিয়ে কম্বলের ওপর দিয়ে ঘুমন্ত ব্যক্তির গায়ে খোঁচা মারতেই বিছানার ওপর তড়াক করে উঠে বসে চোর। তারপর কোনোমতে চোখ কচলে সামনে গৃহকর্ত্রীকে দেখতে পেয়ে পড়িমড়ি করে দৌড়। মুহূর্তের ব্যবধানে বাড়ির পাঁচিল টপকে ভোরের ঘন কুয়াশার মধ্যে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় চোর।
এদিকে এই কাণ্ড থেকে পুষ্পদেবী তখনো থরথর কাঁপছেন এবং সমানে চোর চোর চিৎকার শুরু করে দিয়েছেন। পুষ্পদেবীর চিৎকারে ছুটে আসে পাড়া-প্রতিবেশী। পরে দেখা যায়, আলমারি থেকে কিছু নগদ টাকা ও সোনার গহনা খোয়া গেছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আরামবাগ থানার পুলিশ। চোরকে পাকড়াও করতে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন