বগুড়ায় বাক-প্রতিবন্ধী আট মাসের অন্তঃসত্বা, সন্তানের পিতার পরিচয় পেতে ঘুরছে দারে দারে..

বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক লম্পটের যৌন লালসার শিকার বাক-প্রতিবন্ধী (২৫) অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে জোর তদবির চালাচ্ছে একটি মহল। সে পৌর এলাকার নামুইট গ্রামের উত্তর পাড়ার মৃত লয়েজ উদ্দিনের মেয়ে। ওই লম্পটের নাম উজ্জল হোসেন। সে একই গ্রামের কাচলা পাড়ার নাসির উদ্দিনের ছেলে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সময়ের কন্ঠস্বরের বেশ কয়েকজন পাঠক ফোনে অভিযোগ করেছেন। যৌন লালসার শিকার বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার সন্তানের পিতার পরিচয়ের জন্য প্রভাবশালীদের দারে দারে ঘুরছে। সঠিক বিচার না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছে বাক-প্রতিবন্ধীর পরিবারের লোকজন।
মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের নিকট থেকে জানাযায়, বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েটি ছাগলকে খাওয়াতে মাঠে যায় প্রতিদিন। লম্পট উজ্জল হোসেন মাঠে গিয়ে প্রতিদিন তাকে মোবাইল ফোনে গান শুনাতো। ওই সুযোগে সে বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষন করে। এরপর থেকে প্রায় বেশ কয়েকদিন জোরপূর্বক বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষন করে সে। পরে মেয়েটি বাড়িতে তার পরিবারের লোকজনকে আকার-ইঙ্গিতে ধর্ষনের ঘটনার বিবরণ দেয়। পরিবারের লোকজন উজ্জলে অভিভাবকদের ঘটনাটি জালালে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়।
চলতি মাসে বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েটির মেডিকেল চেকাপ করা হলে জানাযায় সে আট মাসের অন্তঃসত্বা। এঘটনাটি জানাজানি হলে পারিবারিক ভাবে কয়েক দফা বৈঠক বসে। বৈঠকে প্রতিবন্ধী মেয়েটি আকার-ইঙ্গিতে উজ্জল হোসেনকে দেখিয়ে দেয়। তবে উজ্জল হোসেন ঘটনাটি অস্বীকার করে ডিএনএ পরীক্ষা করার দাবী জানান। এনিয়ে বৈঠকটি ভন্ডুল হয়ে যায়। এরপর থেকে উজ্জল গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
মেয়েটির বড় ভাই তাছের আলী বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী বোনের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে উজ্জল ধর্ষন করেছে। একথা আমার বোন আকারে-ইঙ্গিতে আমাদের কাছে বলেছে। এখন সে আট মাসের অন্তঃসত্ব। কে হবে আমার বোনের সন্তানে পিতা? এমন প্রশ্ন করে হাওমাই করে কেদে উঠেন তিনি। এর সুষ্ঠু বিচার চায় তারা।
অভিযুক্ত উজ্জলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উজ্জলের মা তার ছেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর রহমত আলী বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি উভর পক্ষের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু উজ্জল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারিছনা। আমি তাদের আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. শরীফুন্নেসা জানান, ঘটনাটি তারা আমাকে জানিয়েছে। আমি তাদের আইনগত ভাবে সহায়তা করছি।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন