জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা তা দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এদেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’

খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। যেমন পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলসহ ভাল ভাল লোককে গ্রেফতার করে গুম করছে ও হত্যা করছে।’

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নের নামে পদ্মা সেতু ও ফ্লাইওভারের কাজ বিলম্ব করে ব্যয়বহুল অর্থ দেখিয়ে লুটপাট করছে। যার বিরুদ্ধে আমি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হুকুম দিচ্ছি তোমরা প্রতিটি গ্রামে গঞ্জে নেমে এই সরকারের বিরুদ্ধে সকল জনগণ ও যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের পক্ষে ঝাঁপিয়ে নামার ব্যবস্থা কর।’

খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন করেছেন এবি সিদ্দিকী। এর আগেও তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন।