‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অমর, কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের আদর্শ ও চেতনায় বঙ্গবন্ধু এখনো অমর হয়ে আছেন। তিনি শহীদ হলেও অতীতে যেমন কেউ তাঁর আদর্শ নস্যাৎ করতে পারেনি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে কেউ তা পারবে না।’ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘চিত্রগাঁথায় শোকগাথা’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। বঙ্গবন্ধুর কিছু দুর্লভ ছবি নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কিছু কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাঙালি জাতি প্রমাণ করেছে, কেউ এ জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি এখনো তাদের মাথা উঁচু রেখেছে, যত বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন, বাঙালি জাতি এসব অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই এগিয়ে চলা অব্যাহত থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতির জন্য এটি ছিল দুর্ভাগ্যজনক যে তারা যখন সামনে এগিয়ে যেতে চেয়েছে ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছে, তখন তারা বাধার সম্মুখীন হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে শাস্তি এড়ানোর সুযোগ দিয়েছে এবং বিদেশে বিভিন্ন মিশনে পোস্টিং দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশে খুনিদের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, যা বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ উত্থানের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এমনকি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দুর্ভাগ্যের রাতে ১৮ জনকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া দুই সন্তান তিনি ও তাঁর বোন ন্যায়বিচার লাভের অধিকারও হারিয়েছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতি কেবল তাদের পিতাকে হারায়নি, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস বিকৃত এবং সংবিধান কাটাছেঁড়া করা হয়েছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ২১ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে পারেনি। তাদের মুক্তিযুদ্ধের গান শোনার কোনো অধিকার ছিল না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের কারগার থেকে মুক্ত করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও উপদেষ্টা করা হয়েছিল।’
পরে প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দেশের প্রথিতযশা শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের হাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আঁকা প্রত্যক্ষ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ শামসুল হক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আড়াই বছর পর কারাগার থেকে বের হলেন পি কে হালদার
বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ভারতেরবিস্তারিত পড়ুন
আয়কর রিটার্ন জমার সময় আবারও এক মাস বাড়লো
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২৫ করবর্ষেরর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরওবিস্তারিত পড়ুন
বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মইনুলকে
বিদেশে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস-বিডিআরেরবিস্তারিত পড়ুন