সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বঙ্গবন্ধুর নাম বদলে স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজের নামে হলের নাম

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা চারটি হল ও একটি একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৬৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে “জুলাই-৩৬ হল”, শেখ রাসেল হলের নাম “শহীদ আনাছ হল’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম “শাহ আজিজুর রহমান হল”, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম “উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হল” এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের নাম “ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবন” করা হয়েছে।

তবে প্রজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে শাহ আজিজুর রহমানের নামে নামকরণের সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

শাহ আজিজুর রহমান ছিলেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী। যুদ্ধের সময় তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আবদুল মোতালেব মালিকের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য হন এবং রাজস্বমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি পাকিস্তান কর্তৃক জাতিসংঘে প্রেরিত প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি জাতিসংঘে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে।

১৯২৫ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করা শাহ আজিজুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীও। ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মুসলিম লীগের আন্দোলনে অংশ নেন। পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) স্বায়ত্বশাসনের ব্যাপারে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধিতা করেন।

১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি জাতিসংঘে পাকিস্তান কুটনৈতিক দলের নেতৃত্ব দেন এবং বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার কথা অস্বীকার করেন। তিনি অন্যান্য মুসলিম দেশকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে আহবান জানান।

পরে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতা করার দায়ে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দালাল আইনে তার বিচার হয়।

বিএনপি গঠনের পূর্বে ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট নামক একটি দল গঠিত হয়। এই দলে তৎকালীন মুসলিম লীগের একটি অংশ নিয়ে শাহ আজিজুর রহমান যোগদান করেন। এই জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট এবং আরও কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠিত হলে তিনি এই দলে বেশ প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হন। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিচারপতি আবদুস সাত্তার প্রেসিডেন্ট হলে শাহ আজিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর পদে অসীন থাকেন। ১৯৮২ সালে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করে শাহ আজিজুর রহমানকে পদচ্যুত করেন। শাহ আজিজুর রহমান ১৯৮৮ সালে মারা যান।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
  • দেশে ফিরেছেন মুহাম্মদ ইউনূস
  • মিরপুরে ঝগড়ার জেরে ‘সাততলা থেকে ফেলে’ যুবককে হত্যার অভিযোগ
  • ‘হলে থাকতেন-টিউশনি করতেন, এখন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন’
  • শুক্রবার বৈঠকে বসছেন ইউনূস-মোদি
  • এসএসসি পেছানোর দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, যা বলছে শিক্ষা বোর্ড
  • মব-নারীবিদ্বেষ-তৌহিদি জনতা: দেশে চরমপন্থা বিকাশের সুযোগ সত্যি নাকি বিভ্রান্তি?
  • নাহিদ: আওয়ামী দুঃশাসনের ভুক্তভোগীদের কাছে ৫ আগস্ট অবশ্যই দ্বিতীয় স্বাধীনতা
  • দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে মস্কোর সহযোগিতা চায় ঢাকা
  • ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যে আহ্বান জানালো সৌদি আরব
  • ৬ ডলারে নামছে না রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা, কমছে ৫০ সেন্ট
  • আরও একমাস বাড়লো পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ