বঙ্গবন্ধু পারলে শেখ হাসিনা কেন নয়
বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবের মৃত্যুর মাত্র ৭ দিন আগে ৮ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জ্বালানিখাতে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্রিটিশ কম্পানি শেল অয়েলের কাছ থেকে ৯ লাখ বিট্রিশে পাউন্ডের মাধ্যমে কিনে নেওয়া হয় ৫টি গ্যাস ক্ষেত্রে। আজকে বাংলাদেশে এখনো কমদামে যে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে-তার কারণ বঙ্গবন্ধুর কেনা সেই ৫ গ্যাস কূপ থেকে কমদামের গ্যাসের জন্য। আর বাকি ৫৫ শতাংশ গ্যাস বেশি দামে বহুজাতিক কম্পানি শেভরনের কাছ থেকে কিনে থাকে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ব গ্যাস ক্ষেত্রের কমদামের গ্যাস আর বিদেশি কম্পানির কাছ থেকে বেশি দামের কেনা গ্যাস মিলিয়ে বর্তমানে দামে গ্রাহকের কাছে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বহুজাতিক কম্পানি শেভরন তাদের বাংলাদেশের সকল সম্পদ বিক্রি করে এখান থেকে চলে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। শেভরনে হাতে থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলো যদি বাংলাদেশ কিনতে পারে তাহলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর আমলে ছাড়া বাংলাদেশের অন্য সরকারি আমলগুলোতে গ্যাসক্ষেত্রের জাতীয়করনের ওপর জোর দেওয়া হয়নি। এর ফলে দেশের একের পর এক গ্যাসক্ষেত্রের ইজারা পেয়েছে বিদেশি বহুজাতিক কম্পানি। আবার ওইসব বিদেশি বহুজাতিক কম্পানিগুলো তাদের ইচ্ছেমত বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরে করে দেশ থেকে চলে গেছে। এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি সরকারগুলো।
শেভরনের সম্পদ কিনে নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে সোমবার রাতে টেলিফোনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, বিষয়টি খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আলাপ আলোচনার মধ্যে রয়েছে। তবে সরকার যদি মনে করে তবে শেভরনের হাতে থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলো কিনে নিতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে শেভরনের সম্পদের নীরিক্ষা করবো। নিরীক্ষার পর শেভরনের সম্পদের দাম কম তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে তারা বলছেন, মাগুরছড়া ইউনিকলের কাছ থেকে কিনে নেয় অক্সিডেন্টাল। এরপর সেখানে তারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অন্তত আড়াই শ বিসিএফ গ্যাস পুড়িয়ে ফেলে। কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে অক্সিডেন্টাল তাদের থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলো শেভরনের কাছে বিক্রি করে চলে যায়। এখন শেভরন যখন তাদের সম্পদ বিক্রি করার চিন্তা করছে তখন তাদের কাছ থেকে মাগুরছড়ার নস্ট হওয়া গ্যাসের দাম দাবি করা উচিত।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শেভরনের সম্পদের নীরিক্ষা করতে হবে। এরপর দরকষাকশির মাধ্যমে বাংলাদেশে শেভরনের হাতে থাকা তিনটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নিতে পারে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশের এককালিন বেশ অর্থ গেলেও দেশের দীর্ঘমেয়াদে লাভ হবে বেশি।
জ্বালানি তেলের দাম অব্যাহত কমে যাওয়ায় সম্প্রতি শেভরন ঘোষণা দিয়েছে তারা মিয়ানমার, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের সম্পদ বিক্রি করতে চায়। এ বিষয়ে ঘোষণা এসেছে শেভরনের আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়ার্ক থেকে। তবে বাংলাদেশ শেভরন এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি সরকারকে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে গত ২০ অক্টোবর শেভরনের প্রধান কার্যালয় ও বাংলাদেশ কার্যালয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। বাংলাদেশ শেভরনের গণযোগাযোগ কর্মকর্তা জাহিদুর কালের কণ্ঠকে বলেন, যাদের কাছে ভালো দাম পাওয়া যাবে তাদের হাতেই শেভরনের সম্পদ ছেড়ে দেওয়া হবে। তার আগে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তবে শেভরনের বাংলাদেশ সম্পদ বিক্রির বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আলাপ আলোচনার মধ্যে রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ যদি জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত করতে চায় তবে শেভরনের কাছ থেকে গ্যাসক্ষেত্রগুলো কিনে নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি খুবই আনন্দিত হবো যদি বাংলাদেশ শেভরনের হাতে থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলো কিনে নেয়। কিন্তু এ ধরনের বিনিয়োগ করার আগে অনেক হিসেব নিকেশ আছে।
তিনি আরো বলেন, শেভরনের হাতে থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলো বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তার প্রাণ বা লাইন লাইন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বর্তমানে যে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে শেভরন তার অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করে থাকে। ফলে বিষয়টির গুরুত্ব অপরিসিম।
কূপ কী শূণ্য?
শেভরন দেশের সর্ববৃহৎ গ্যাসের মজুদ বিবিয়নার ইজারা নিয়েছিলো শেভরন। এ ক্ষেত্রে শেভরনের হিসেব অনুযায়ী সাড়ে ৫ দশমিক ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাস রয়েছে। তবে তথ্য মানতে চায়নি পেট্রোবাংলা। তাদের দাবি সেখানে সাড়ে চার টিসিএফ গ্যাস রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে শেভরন একটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান দিয়ে এক্ষেত্রের গ্যাসের মজুদ নির্ধারণ করে ৫ দশমিক ৬ টিসিএফ। পিএসসি চুক্তি অনুযায়ী, পেট্রোবাংলা মজুদের এ পরিমান মেনে নেয়।
নিয়ম অনুযায়ী, এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) গ্যাসের একটি কূপ থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যায়- এটা বিশেষজ্ঞদের মত। এর বেশি গ্যাস উত্তোলন করলে ওই কূপের অকালমৃত্যু হতে পারে। প্রতি টিসিএফে সর্বোচ্চ গ্যাস উত্তোলনের এটা বটমলাইন। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের মজুদের পরিমাণ ৫ দশমিক ৬ টিসিএফ। এ হিসাবে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। কিন্তু নিয়ম ভেঙে শেভরন এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করেছে শেভরন।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের দাবি, মজুদের পরিমানের তুলনায় প্রতিদিন বেশি হারে গ্যাস উত্তোলন করেছে শেভরন। এতে গ্যাসক্ষেত্রে কী পরিমান গ্যাস আছে সেটি স্পষ্ট নয়। আদৌ গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাস আছে কিনা তাও বলা মুশকিল।
পেট্রোবাংলার একটি সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় শেভরন ব্যাপক লসের মুখে পড়ে। এ কারণে আর্থিক লোকসানিতে থাকা খনিগুলো শেভরন ছেড়ে দিতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশে শেভরন মুনাফা করছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে তেল গ্যাসের দাম কমে গেলেও এর সুযোগ নিতে পারেনি বাংলাদেশ সরকার। শেভরনের সঙ্গে বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট দামে যে চুক্তি করেছিলো সেই দামেই কিনছে বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশ থেকে শেভরনের চলে যাওয়াটা রহস্যজনক। শেভরনের চলে যাওয়ার পেছনে একটি কারণ হতে পারে বিবিয়নাতে আর গ্যাস নেই। তবে এটি বলতে হলে আগে গ্যাসের মজুদ নির্ধারণে পরীক্ষা চালাতে হবে বলেও সংশ্লিষ্টদের মত।
শেভরনের বিনিয়োগের হিসেব নেওয়া উচিত
শেভরনের সঙ্গে পেট্রোবাংলার প্রডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট (পিএসসি) অনুযায়ী, মোট গ্যাসের ৫৫ শতাংশ খরচ উসুল (কস্ট রিকভারি) হিসেবে শেভরন পাবে। বাকিটা প্রফিট গ্যাস হিসেবে পেট্রাবাংলা ও শেভরনের মধ্যে ভাগাভাগি হবে। অর্থাৎ ২০ শতাংশের মতো গ্যাস সরকারের পাওয়ার কথা। যখন শেভরনের বিনিয়োগ উঠে আসবে, তখন মোট গ্যাসের ৮০ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ। বাকি ২০ শতাংশ পাবে শেভরন। কিন্তু বিদেশি কম্পানিগুলো বরাবরই গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেখায়। ফলে কস্ট রিকভারির অজুহাত শেষ হয় না তাদের।
জানা গেছে, বিবিয়ানার ক্ষেত্রেও কস্ট রিকভারির মুলো ঝুলে আছে। এ ক্ষেত্রটিতে শেভরন নতুন করে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে কস্ট রিকভারি শেষ না হয়ে বরং বিনিয়োগের পরিমাণ আরো বাড়ল। ফলে কস্ট রিকভারির সময়ও বাড়বে। যদি বিবিয়ানায় শেভরনের বিনিয়োগের অর্থ উঠে আসার আগেই কূপের গ্যাস শেষ হয়ে যায়, তাহলে কস্ট রিকভারি শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের যে ৮০ শতাংশ গ্যাস পাওয়ার কথা ছিল, তা আর পাবে না।
বিনিয়োগের পরিমাণও বিদেশি কম্পানিগুলো বেশি দেখিয়ে থাকে। একটি সাধারণ ৫০০ মিলিলিটার পানির বোতলের দাম বাজারে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। অথচ শেভরন তাদের খরচ দেখিয়ে থাকে ৩০ টাকা। শুধু পানির বোতল বা দৈনন্দিন সাধারণ খরচেই বিনিয়োগ বেশি দেখানো হয় না, কম্পানিটি বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকে স্থানীয়দের জন্য। এসব খাতে খরচ হওয়া কোটি কোটি টাকাও বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো হয়।
এ ছাড়া শেভরন তাদের নিজস্ব চলাচলের জন্য একটি বিমান কিনেছে। এ বিমানটি ঢাকা থেকে সিলেটে যাতায়াতের জন্য তারা ক্রয় করেছে। এ বিমান কেনার অর্থও তারা বিনিয়োগ হিসেবে দেখিয়েছে।
জানা গেছে, শেভরন বিবিয়ানা ও লাউয়াছড়ার গ্যাসক্ষেত্রগুলোর আশপাশে হাসপাতাল স্থাপন করে সেখানে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া সেখানকার কৃষি, কুটির শিল্প, শিক্ষাঋণের মতো বেশ কিছু খাতে অর্থ প্রদান করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য। সারা পৃথিবীতে কম্পানির ভাবমূর্তী উজ্জ্বল করার জন্য এসব বিষয়ে শেভরন তথ্যচিত্র নির্মাণ করে প্রচার করে থাকে। বিনিয়োগের নামে এ অর্থও কস্ট রিকভারির গ্যাস থেকে মেটানো হয়। অর্থ যায় জনগণের, নাম হয় শেভরনের।
এ বিষয়ে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদেশী বহুজাতিক কম্পানির হাত গ্যাসক্ষেত্রগুলো থাকলে সে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা সংহত হবে নাÑশেভরনের উদাহরণ সেটি আরেকবার প্রমান করছে। শেভরনের এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো বাংলাদেশের জন্য সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি পূর্ণাঙ্গ হিসেবে নিকেশ করে গ্যাসক্ষেত্রগুলো অবশ্যই বাংলাদেশের হাতে নেওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, শেভরনের সম্পদ হস্তান্তরের আগে তার কাছ থেকে মাগুরছড়ায় আড়াই শ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পুড়ে গেছে তার অর্থ আদায় করা উচিত। অথবা কেনার সময় এ অর্থ সমন্বয় করা উচিত।
তৌফিক ইলাহীর কারণে ক্ষতির ক্ষতির মুখে থাকবে সরকার
সরকারের নীতি নির্ধারকেরা চান শেভরনের বাংলাদেশের সম্পদ কিনে নিয়ে তা রাষ্ট্রায়ত্বকরণ করা। এ জন্য শেভরনের সম্পদের চুলচেরা নিরীক্ষা দরকার। কিন্তু জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর বিভিন্ন সময়ে নেওয়া কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশ ক্ষতির মুখে পড়বে। আর সুবিধায় থাকবে শেভরন।
এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৯৯৭ সালে মাগুরাছড়াতে মার্কিণ কম্পানি অক্সিডেন্টাল বিস্ফোরণ ঘটালে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার গ্যাস পুড়ে যায়। এ ক্ষতিপূরণ না দিয়ে অক্সিডেন্টাল ইউনিকলের কাছে তাদের সম্পদ বিক্রি করে চলে যায়। এরপর ইউনিকলও কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে শেভরনে কাছে তাদের বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রি করে চলে যায়। ফলে আইন অনুযায়ী, অক্সিডেন্টালের ক্ষতিপূরণ এখন শেভরনে দেওয়ার কথা। কিন্তু জ¦ালানি সচিব থাকাকালে তৌফিক ইলাহী শেভরনকে মাত্র ১২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে দেওয়ার অনুমতি দেয়। গত ৩০ জুন পেট্রোবাংলার কাছে শেভরন মাত্র ১২ কোটি টাকা দিয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ থেকে রেহাই পায়।
এ ছাড়া ৩৭০ কোটি টাকার একটি অপ্রয়োজনীয় পুরানো কম্প্রেসার কেনার ব্যাপারেও শেভরনকে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৌফিক ইলাহীর বিরুদ্ধে। আর এ কম্প্রেসার কেনার অর্থও শেভরন বিনিয়োগ হিসেবে দেখিয়েছে। এসবের কারণে বাংলাদেশ সরকার শেভরনের সঙ্গে আলোচনায় খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না।
……………..কালেরকণ্ঠ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন