বছর শেষ হয়, চিন্তা বাড়ে অভিভাবকদের
নভেম্বর মাস আসলেই শুরু হয় পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরুর কার্যক্রম। দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ সময় ভর্তি কার্যক্রম চলে। শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখে নতুন ক্লাসের। কিন্তু চরম উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগে থাকেন অভিভাবকরা।
২০১০ সাল থেকে পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান যাচাইয়ের পদ্ধতি চালু হয়। এর পর থেকে নিজেদের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো করে নিয়ম চালু করে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত চলমান ক্লাসে পাশ করার ভিত্তিতে পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হতো। এ ক্ষেত্রে দু-একটি বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদেরও পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির সুযোগ দেয় না। বরং প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে ওসব শিক্ষার্থীকে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দিয়ে স্কুল থেকে ছেড়ে দেয়। এতে ওই শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে টিসি নিয়ে আসা শিক্ষার্থীকে অন্য প্রতিষ্ঠান ভর্তি করাতে চায় না।
এ ক্ষেত্রে সরকারের ঘোষিত ‘শতভাগ পাশ’ বিষয়টি মাঝারি মানের শিক্ষার্থীদের জন্য যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শেখ একরামূল কবীর বলেন, রাজধানীতে কিছু স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান ভালো। ফলে ভর্তির চাপটা ভালো প্রতিষ্ঠানে বেশি পড়ে। আবার এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মান ধরে রাখতে বছর জুড়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নেয়। এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই তারা পরবর্তী বছরের জন্য প্রস্তুতি নেয়। সে ক্ষেত্রে খারাপ করা শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হয়।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি আন্তরিক ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। কারণ কোনো প্রতিষ্ঠানের একটু ভুল, একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে দিতে পারে।
এদিকে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু নভেম্বর-ডিসেম্বর নয়, সারা বছরই সন্তানদের নিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। কারণ পিএসসি, জেএসসি থেকে শুরু করে সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ পাশ নিশ্চিত করতে চায়। এক্ষেত্রে তারা টেস্ট পরীক্ষার আগে, প্রি-টেস্ট পরীক্ষা নেয়। ওই পরীক্ষায় ফেল করলে শিক্ষার্থীদের আর প্রতিষ্ঠানে রাখে না তারা।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বছরের শুরুতেই স্কুলগুলো এই শর্তে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় যে, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে না পারলে এবং রেজাল্ট খারাপ করলে ওই শিক্ষার্থীকে রাখবে না প্রতিষ্ঠান। এই নিয়মের গ্যাড়াকলে পড়ে অভিভাবকরা কিছু করতেও পারেন না প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। বছরের মাঝপথে টিসি নিয়ে কোথায় ভর্তিও হতে পারে না শিক্ষার্থীটি। এতে তার শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যায়।
আবার প্রতি বছরের শেষ দিকে (নভেম্বর-ডিসেম্বর) নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীকেই ভর্তি করানোর আগ্রহ থাকে প্রতিষ্ঠানগুলোর। এ ক্ষেত্রে মাঝারি মেধার শিক্ষার্থী পড়ে মহাঝামেলায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন