বদরুলের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে চার্জশিট
সিলেটের সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর মামলায় এখনো আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা বলছে, হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে একমাত্র আসামি করে আগামী সপ্তাহে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হবে। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে হামলার এক মাস পরও খাদিজার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এখনো তার শরীরের বাম পাশ নড়াচড়া করতে পারছেন না খাদিজা। তবে আগের চেয়ে এখন কিছুটা ভালো বলে দাবি করেছেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যলয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলমের হামলার শিকার হন। চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খাদিজাকে হত্যার চেষ্টা করেন বদরুল। পরে বদরুলকে ধাওয়া করে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন।
খাদিজাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে আনা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। সেদিন দুপুরে খাদিজার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। বেশ কদিন পর অস্ত্রোপচার করা হয় তার হাতে। স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট ডা. রেজাউস সাত্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন খাদিজা।
হামলার ঘটনার পরদিন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে শাহপরান থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় বদরুল আলমকে একমাত্র আসামি করা হয়।
খাদিজার বাবা মো. মাশুক মিয়া বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে বলেন, ‘আমার মেয়ের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে সে তার বাম পাশ নড়াচড়া করতে পারে না। খাদিজার মতো শান্ত-নিরীহ স্বভাবের একটি মেয়ের জীবন যে নরপিচাশ নষ্ট করেছে, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে আর কোনো বাবাকে আমার মতো কষ্ট পেতে না হয়।’
খাদিজার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, খাদিজার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। দুয়েক দিনের মধ্যে আরো ভালো কিছু সংবাদ দেয়া যাবে বলে আশা করছি।’
কয়েক দিন আগে খাদিজার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ স্কয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খাদিজাকে দেখতে। এ সময় তিনি খাদিজার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে এক মাস হয়ে গেলেও খাদিজার ওপর হামলার মামলায় আদালতে প্রতিবেদন দিতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। আমি চেয়েছিলাম ভিকটিমের জবানবন্দি নিতে। কারণ আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দি মামলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’
জানতে চাইলে শাহজালাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজালাল মুন্সী বলেন, ‘ভালোমতো তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়। অন্যথায় মামলায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্যই একটু দেরি হচ্ছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন