বদির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি কাল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ১৭ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল দায়ের করে দুদক।
এ বিষয়ে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এমপি বদির বিরুদ্ধে দুদক দুটি মামলা করেছিল। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের সাজা হয়েছে তাঁর। কিন্তু অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তাঁকে খালাস দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। আজ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। কাল থেকে শুনানি শুরুর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ২ নভেম্বর আবদুর রহমান বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। যদিও এ মামলায় আজ হাইকোর্ট তাঁকে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে এক কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখিয়েছেন।
এসব অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক মো. আবদুস সোবহান রমনা থানায় ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মামলা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বলা হয়েছে, তিনি দুদকের কাছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলাটিতে বদি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর এমপি বদিকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন