বনানী ধর্ষণ: সাদমান, নাঈমের জামিন আবার নাকচ
বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় কারাগারে থাকা আসামি সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই জামিনের আবেদন করা হয়েছিল।
গত ১২ মে সিএমএম আদালত সাদমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১৮ মে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে গত ১৮ মে নাঈমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৫ মে তিনিও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অপর আসামি আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমদ ও তার গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদও কারাগারে রয়েছেন।
গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীদের একজন।
মামলায় বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ধর্ষিতা ছাত্রীর বন্ধু। গত ২৮ মার্চ ঘটনার দিন আসামি সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান ওই দুই ছাত্রী। এরপর ওইদিন তাদের রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করেন। এ সময় সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ভিডিওচিত্র ধারণ করেন।
পরে সাফাত বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। ধর্ষিতরা ভয়ে এবং লোকলজ্জার কারণে এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন।
মামলার পর প্রথমে সাফাত ও সাদমান এবং পরে বিল্লাল, আজাদ ও নাঈম গ্রেপ্তার হন।
ভুক্তভোগী দুই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা শেষে অবশ্য ধর্ষণের আলামত মেলেনি। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন ঘটনার প্রায় তিন মাস পর পরীক্ষা করাই এর কারণ। যদিও তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসামিরা সবাই ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে।
এই ঘটনার জেরে আপন জুয়েলার্সের ছয়টি বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণ এবং ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এগুলোর পক্ষে বৈধ কোনো নথিপত্র দিতে না পারায় ২৫০ কোটি টাকারও বেশি দামের ধাতু বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়।
অনুমোদন ছাড়া মদ বিক্রি, ভ্যাট ফাঁকি এবং রাজউকের অনুমতি ছাড়া হোটেল পরিচালনার কারণে রেইনট্রি হোটেলের বিরুদ্ধেও তিনটি মামলা করার কথা জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। হোটেলটির মালিক ঝালকাঠির আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনের ছেলে আদনান হারুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন