মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিরা : প্রভাব পড়বে বাজারে

টাঙ্গাইলে বন্যায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে পুকুর ও জলাধারগুলোর। বানে ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার পোনাসহ ছোট বড় মাছ। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাছচাষিরা।

টাঙ্গাইলে চাহিদার প্রায় আশি শতাংশ পূরণ করে আসছে স্থানীয় পুকুর ও জলাশয়ের চাষিরা। ভাঙন ও বন্যার অতিরিক্ত পানির চাপে এসব পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে। আপাত দৃষ্টিতে চোখে না পড়লেও খুব শিগগিরই এর প্রভাব পড়বে বাজারে। সাদা চোখে মৎস্য চাষিদের ক্ষতিগ্রস্ত মনে হলেও এর মাসুল গুনতে হবে ভোক্তাদেরই বলে মনে করছেন জেলাবাসী।

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় দেড় শতাধিক পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। পুঁজি হারিয়ে এসব এলাকার মৎস্য চাষিদের এখন পথে বসার উপক্রম। এসব এলাকার মৎস্য চাষিরা ব্যাংক, এনজিওসহ স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করেন। বন্যায় তাদের মৎস্য খামার ও জলাশয়ের মাছ ভেসে যাওয়ায় প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু গাইড বাঁধ এলাকায় সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১০৮টি পুকুর লিজ নিয়ে ওই এলাকার মৎস্য চাষিরা মাছের খামার গড়ে তোলেন। এসব পুকুর লিজ নিতে ভ্যাটসহ তাদের খরচ হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এর আশেপাশে ব্যাক্তি মালিকানায় ৫৩টি পুকুরেও মাছ চাষ চলছে। কিন্তু সম্প্রতি বন্যায় ভেসে গেছে এসব পুকুরের মাছ।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন ১০৮টি সরকারি পুকুরের বাঁধ নির্মাণ করা হলে মৎস্য চাষে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা মৎস্য অধিদফতরের হিসাব মতে টাঙ্গাইলে ১২টি উপজেলার মধ্যে ৮১০টি পুকুর বা জলাশয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলায় ২৭ লাখ, মির্জাপুরে ৪ লাখ ২৫ হাজার, দেলদুয়ারে ৩৩ লাখ, গোপালপুরে ২০ লাখ, নাগরপুরে ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, বাসাইলে ১৯ লাখ, ভূঞাপুরে ২৬ লাখ ১০ হাজার, কালিহাতিতে ২৩ লাখ ৭৭ হাজার ও ধনবাড়ীতে ১২ লাখ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।

এসব উপজেলায় মোট প্রায় ১১৭ হেক্টর পুকুর বা জলাশয়ের ১৩৬ মেট্রিক টন মাছ যার দাম ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা এবং সাড়ে ৩৪ মেট্রিক টন পোনা মাছ যার দাম ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা যা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

অবকাঠামোগত ক্ষতিসহ মোট ২ কোটি ১৩ লাখ ২ হাজার টাকার মত এবারের বন্যায় ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা মৎস্য সম্পদ অধিদফতর।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান জানান, ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ঢাকা বিভাগীয় মৎস্য অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় খুব দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত পেয়ে যাব। তখন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

মৎস্য কর্মকর্তার এমন আশ্বাসে তৃপ্ত হলেও প্রকৃতপক্ষেই সরকারি বেসরকারি সহযোগিতা ছাড়া মৎস্য চাষিদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বলে জানান ভূক্তভোগীরা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ