সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বরগুনায় রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাচ্ছে পুলিশ

রগুনার বেতাগী উপজেলার বুড়া মজুমদার গ্রামের হতদরিদ্র গৃহবধূ মাকসুদা বেগম (৩৫)। মাস দুই আগে কাউকে কিছু না বলে নিরুদ্দেশ হন স্বামী শহিদুল ইসলাম (৪০)। সেই থেকে তাঁর কোনো খোঁজ নেননি শহিদুল।

দরিদ্র পরিবারের অভাবী সংসার মাকসুদার। দীঘদিন ধরে অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা) রোগে ভুগছেন। তার ওপর এক মাস আগে একটি মেয়ের জন্ম দেন তিনি। খাদিজা নামে তাঁর ১৩ বছরের আরেকটি মেয়ে রয়েছে।

এদিকে রক্তশূন্যতা চরমে পৌঁছালে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন মাকসুদা। এ সময় স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন জাগো নারীর রি-কল প্রকল্পের উদ্যোগে মাকসুদাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মাকসুদার শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ন্যূনতম পাঁচ ব্যাগ রক্ত না দিলে মাকসুদার জীবন সংশয় রয়েছে। এ সময় রক্তের জন্য যোগাযোগ করা হলে মাকসুদার পাশে এসে দাঁড়ায় বরগুনার পুলিশ লাইভ ব্লাড ব্যাংক। পুলিশ লাইভ ব্লাড ব্যাংকের একজন সদস্য বামনা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল উদ্দিন প্রথম দিনেই মাকসুদাকে এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে যান। দ্বিতীয় দিনে রক্ত দেন মেহেদী হাসান নামের আরেক পুলিশ কর্মকর্তা।

এ উপলক্ষে শনিবার সকালে বরিশাল বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আকরাম হোসেন ও বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে মাকসুদা ও তাঁর শিশুসন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার, শাড়ি-কাপড়সহ অর্থ সহযোগিতা দেন।

এ সময় পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, বরগুনা জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি মাত্র জেনারেল হাসপাতাল। চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি এখানে রয়েছে জরুরি রক্তের সংকট। নিভৃত গ্রাম থেকে আসা অধিকাংশ রোগীর চিকিৎসাসেবা পেতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যেসব ধকল পার হতে হয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সংকট এটি। প্রত্যন্ত জনপদ থেকে আসা দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারের রোগীদের এ সমস্যা নিরসনে পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় তিনি বরগুনায় স্থাপন করেন ‘পুলিশ লাইভ ব্লাড ব্যাংক’। জেলার ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্যের রক্তের গ্রুপ এবং একাধিক জরুরি মোবাইল নম্বর দিয়ে লিফলেট ছাপিয়ে তা বিতরণ করেন তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্থানীয় দরিদ্র মানুষের জরুরি প্রয়োজনে এখন সক্রিয় ‘পুলিশ লাইভ ব্লাড ব্যাংক’।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাতা সংস্থা অক্সফাম, সিঁড়ি এবং ইউকে এআইডির সহযোগিতায় বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের তিন হাজার ৫০০ হতদরিদ্র উপকারভোগীর জীবনমান উন্নয়নে ২০০৯ সাল থেকে আয় বৃদ্ধিমূলক নানামুখী উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করে করে আসছে স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন জাগো নারী।

সম্প্রতি দাতা সংস্থা অক্সফাম থেকে একটি সার্ভে টিম এসে মাকসুদাসহ রুনু বেগম নামের অপর আরেক উপকারভোগীকে অ্যানিমিয়ার রোগী হিসেবে শনাক্ত করে। এর মধ্যে শনাক্তকরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয় রুনু বেগমের (৪৫)। বর্তমানে রি-কল প্রকল্পের অধীনেই মাকসুদা বেগমের চিকিৎসা চলছে। মাকসুদা বেগম বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা